পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/২৮

ভাল টুপিকে নিজহাতে সেলাই করে বেমক্কা বানানো মাদাম মালদারের একটা বদ অভ্যাস। জে এসে এইসময় খবর দিল যে, টেবিলে খানা দেওয়া হয়ে গেছে। নানা বললো-মাদাম মালদারও খাবেন আজ আমাদের সঙ্গে, ওঁর জন্যও थांवल नां& । জো বললো— আচ্ছা দিচ্ছি। আসুন আপনার । খাবার টেবিলে বসে নানা একটা কঁাচা মূলো তুলে নিয়ে কচার কােচর করে চিবোতে সুরু করে দিল । মাদাম লিরাত ই ই করে উঠলো নানার মূলো-খাওয়া দেখে। সে বললো-কাচ্ছিস কি নানা ! কঁাচা মূলো খেলে পেট ফাপবে যে ? —পেট ফাপিবে না। ছাই! মূলে আমার খুব ভাল লাগে। এই সময় জে একখানা প্লেটে করে কতকগুলো গরম কাটলেট এনে প্ৰত্যেকের পাতে তিনখানা করে দিয়ে গেল । কাটুলেটু কিন্তু নানা ছুলোও না। একখানা ব্রেস্ট কাটলেট থেকে হাড়টা বের করে নিয়ে চিবোতে চিবোতে নানা বললো-আর কিছু নেই ? জো তখন একটা রোস্ট-করা মুরগী এনে তিন খণ্ডে কেটে তিনজনের পাতে পরিবেশন করে গেল । মাদাম মালদার আর মাদাম লিরাত দুজনেই মহা আনন্দে কাটলেট আর রোস্ট খেতে সুরু করলেও নানা কিন্তু ওগুলো মুখেও তুললে না। কয়েকটা মিষ্টি তুলে নিয়ে খেয়েই আহার শেষ করলো নানা। খাওয়া শেষ হবার আগেই বাইরের ঘরে কলিং বেলের আওয়াজ শুনতে পেয়ে নানা বললো-স্যাখতে জো, আবার কোন মুখপোড়া এলো ? জো তাড়াতাড়ি বাইরে যেয়ে দরজা খুলতেই একেবারে অবাক হয়ে গেল “ওমা ! এ যে একদল অচেনা লোক !” R O