পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবারই হাতে একটা করে ফুলের তোড়া। নানাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছে ওরা । এর পর মিনিটে মিনিটে আসতে লাগলো স্তাবকের দল। কারে হাতে ফুলের তোড়া, কেউ এনেছে অভিনন্দন-পত্র, আবার কেউ বা এনেছে প্ৰেমপত্ৰ | * প্রেমিক। আর স্তাবকের দলে ভরতি হয়ে গেল নানার বাড়ী । দু’চারজন পাওনাদারও এসে টাকার তাগাদার বদলে অভিনন্দন জানিয়ে গেল নানাকে । এদিকে বেল প্ৰায় তিনটে বাজিলেও অভিনন্দন-জানানেওয়ালারা ওঠবার নামও করছে না দেখে নানা উসখুসি করতে লাগলো। সে তখন কাউকে কিছু না বলে শোবার ঘরে এসে জাম-কাপড় পরে তাড়াতাড়ি পেছন-দরজা দিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে গেল । এদিকে বেলা প্রায় পাঁচটা বাজে, তবু নানা ফিরছে না দেখে, মাদাম লিরাত ঘন ঘন উঠে গিয়ে রাস্তার দিকে তাকাতে সুরু করলো। প্ৰায় সাড়ে পাচটার সময় নানা হঁপাতে হঁপাতে এসে উপস্থিত হতেই মাদাম বললোটাকা পেয়েছিস ? ', নানা কোন কথা না বলে ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চারখানা একুশ ফ্রাঙ্কের নোট বের করলো । মাদাম বললো-দে, আর দেরি করিস নি। এখনও গেলে হয়তে ছ’টার গাড়ী পাওয়া যাবে! নানা বললো-একটু সবুর করে। একখানা নোট ভাঙতে হবে। তোমার যাতায়াতের জন্য গাড়ীভাড়া ছাড়াও মাদাম টি কনকে কমিশন দিতে হবে, তাছাড়া আমারও তো কিছু চাই। কিন্তু বিপদ বাধলে নোট ভাঙানো নিয়ে। তখনই কোথায় পাওয়া যায় ভাঙনি ! বিপদ উদ্ধার করলে জো।