পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - তুই নাকি! তা হলে তো নিশ্চয়ই কিছু দেওয়া দরকার। তবে কি জানেন, উপস্থিত আমার হাতে পঞ্চাশ ফ্রাঙ্কের বেশি নেই। আজ এই নিয়ে যান, পরে সুবিধে হলে আরও কিছু দেবে। “পঞ্চাশ ফ্রাঙ্ক চাদ দিচ্ছে এ!” কাউণ্ট আর মাকুইস দুজনেই আশ্চর্যান্বিত হয়ে গেলেন নানার বদ্যান্যতায় । নানা তখন তার সেই দিনের রোজগার থেকে যা কিছু নিজের জন্যে রেখেছিল, সবই এনে কাউণ্টের হাতে দিয়ে বললো—এই নিন ! শত ধন্যবাদ দিয়ে মাকুইস আর কাউণ্ট চাদ। নিয়ে চলে গেলেন। নানা মনে মনে হেসে বললো-হঠাৎ আমার বাড়ীতে চাদ। চাইতে কেন এসেছে। জাদুর, সেকি আর আমি জানিনা ? ওঁরা চলে যেতেই জো বলে উঠলো-করলে কি দিদিমণি ! সব টাকাই দিয়ে দিলে। ওঁদের ? নানা বললে—তুই কি বুঝব? এ টাকা আমি ভবিষ্যতের জন্য দাদন দিলাম। নানার কথা শেষ না হতেই আবারও কলিং বেল বেজে উঠলো। এবারে কিন্তু সত্যিই ধৈর্য হারিয়ে ফেললো নানা । সে বলম্বুেল-বলে আয় যে, আজ আর দেখা হবে না । জো চলে গেল, কিন্তু একটু পরেই আবার ফিরে এসে বললোঁ-মাসিয়ে স্টিনার এসেছে যে ? -কে ? সেই ভুড়িওয়ালা সুদখোরটা ? তুই তাহলে দাড়া, ব্যাটা ভুড়িদাসকে আমিই বিদেয় করে আসছি। জো বললো-লোকটাকে অপমান না করলেই ভাল হয় দিদিমণি। শুনেছি, ওর নাকি অনেক পয়সা । যেতে যেতেই নানা বললো-যে মানুষকে বশ করতে হয়, তাকে প্ৰথমে একটু অপমানই করতে হয়, তা জানিস? এই বলে একটু মুচকি হেসে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। সে । R8