পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদিশাল্লায় আটক থাকলে কােনাে নারীই সুখী হতে পারে না। কিন্তু সুখী না হলেওঁ স্বামী ছাড়া অন্য কোন লোকের উপরে ভালবাসাও আসতে পারে না। এই রকম নারীদের। এসব জায়গায় নিজেকে খারাপ পথে নেবার সুযোগ বেশি নেই।” এই সব ভাবতে ভাবতে কাউন্টেসের মুখের দিকে চাের-চাউন্নিতে চাইলো ফুচেরি৷ -“কী সুন্দর ঠোঁট দুখানি ! যেন রসে ভরা পাকা আঙর ६ठेि !” হঠাৎ ফুচেরি লক্ষ্য করলে যে, কাউণ্টেসের বা দিকের গালের উপর একটা কাল তিল । “কি আশ্চৰ্য ! ঠিক ঐ রকম তিল যে নানার গালেও আছে!” সে তখন আরও ভালভাবে লক্ষ্য করতে লাগলো কাউণ্টেসের মুখের দিকে। সে দেখলে যে, নানার মুখের সঙ্গে কাউণ্টেসের মুখের আশ্চৰ্যরকম মিল। চেহারার সাদৃশ্য যে মনোবৃত্তিরও সাদৃশ্য ঘটায়, এ তথ্য ভালু করেই জানা ছিল ফুচেরির। তাই তার আশা হলো যে, এখানে টোপ ফেললে হয়তো কাজ छ्'८ऊ& *ां८ ।। খানাপিনা আরম্ভ হয়ে গেল । খানাপিনার ফাকে ফঁাকে সম্পাদক মশাই প্রায়ই কাউন্টেসের দিকে বঁকা চোখের দৃষ্টিক্ষেপ করতে সুরু করলো। তার ধারণা যে, ডুবে ডুবে জল খেলে একাদশীর বাবাও টের পাবে না। কিন্তু ‘একাদশী’ মশাইও যে তার দিকে দৃষ্টি রেখেছে, এ খবর সে জানতেই পারলো না। এই একাদশী মশাই হচ্ছেন কাউণ্ট মাফাত-এর এ্যাটনি এবং মাফাত পরিবারের বহুদিনের বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী মাসিয়ে ভেনে । এই চতুর এবং কুটবুদ্ধি এ্যাটনিকে সবাই সমীহ করে চলতো। খানাপিনা শেষ হলে ফুচেরি আর ভাদোভো দুজনেই ফাক খুঁজতে লাগলো, কখন কাউণ্টকে আগামী কালের নিমন্ত্রণের কথা বলা যায়। wo