পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময় আবার একদল লোককে আসতে দেখে নানা একেবারে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো। কাউণ্ট ভাদোভোকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে সে এরা আবার কারা ? ভাদোভো বললো-এর সবাই গণ্যমান্য লোক। কাল কাউণ্ট মাফাতের বাড়ীতে ভোজের সময় এদেরকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। আমি । কাউন্টের মুখে এদের পরিচয়ে নানা একেবারে জল হয়ে গেল। সে বললো-তা বেশ বেশী ! দেখো, এদের যেন কোন রকম অযত্ন न शंभ्र ! এই সময় একজন বুড়োগোছের ভদ্রলোককে দেখা গেল নানার শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে। লোকটিকে ওখানকার অনেকেই চিনতো না, তাই পরস্পর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগলো। ওরা। সবারই মুখে চাপা হাসি। সবাই মনে মনে বুঝে নিল যে, এটি নানার নূতন মক্কেল। আজকের ভোজের খরচটা হয়তো এর ঘাড় ভেঙ্গেই চালানো ठूCघछ । d'or ক্যাটারিং কোম্পানির খানসামা এই সময় এসে বললো-খানা তৈরী, আপনার আসতে পারেন । A. নানা তখন স্টিনারের হাতখানা নিজের হাতের মধ্যে জড়িয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে খাবার ঘরের দিকে চলতে লাগলো। সেই বুড়ো ভদ্রলোক নানার ভাবগতিক দেখে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে সসম্মানে পশ্চাদপসরণ করাই শ্রেয় মনে করে পিছিয়ে পড়লো । নানা গিয়ে ‘হোস্টেস’-এর আসনের সামনে দাড়িয়ে চাল দেখিয়ে বললেবন্ধুগণ ! আপনার ইচ্ছামত আসনে উপবেশন করুন। আমার এখানে কোনই বাধা নিষেধ নেই। এটা হচ্ছে প্রীতিভোজ । শ্ৰীতিভোজের মজাই হচ্ছে এই যে, সবাই এখানে নিজের খুশিমত আনন্দ উপভোগ করতে পারেন ।