পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানাকে দেখতে না পেয়ে ভাদোভো, ড্যাগনেটু আর জর্জ-তিনজনে ব্যস্ত: হয়ে ছুটলো তার শোবার ঘরের দিকে। শোবার ঘরে ঢুকে ওরা দেখলে যে, নানা খাটের উপরে চুপটি করে বসে আছে। —কি ব্যাপার ? ভাদোভো বললো-তুমি হঠাৎ উঠে চলে এলে যে ? -চলে আসবো না তো কি বসে বসে মাতালের দলের মাত লামো দেখবো না কি ? এটা কি শুড়িখানা পেয়েছে নাকি সবাই ? আমি বুঝতে পারছি যে, আজি সবাই মিলে জোট পাকিয়ে আমাকে অপমান করতে এসেছে। এইসব নচ্ছার পাজী ছোটলোকগুলোকে কাটা-পেটা করে বের করে দেওয়া দরকার। রাগে আগুন হয়ে নানা আরও কি সব বলতে যাচ্ছিলো, কিন্তু ভাদোভো বাধা দেওয়ায় চুপ করে গেল সে। ভাদোভো বললো-চুপ চুপ! কেউ শুনতে পেলে কি মনে করবে ? ওরকম কথা বলতে আছে ? ছিঃ ! হাজার হলেও ওরা সবাই আজ তোমার বাড়ীতে নিমন্ত্রিত। অতিথিদের সম্বন্ধে ওভাবে কথা বলা রীতিবিরুদ্ধ। তুমি দেখছি বেজায় মাতাল হয়ে পড়েছে ! চলে আর ছেলেমানুষি করে না । নানা বললো—কিন্তু তুমি জানো না কাউণ্ট ! আজকের এই হট্টগোলের জন্য ঐ হতচ্ছাড়া সম্পাদকটাই দায়ী। আমি ওকে বললাম, কাউণ্ট মাফাতকে নিমন্ত্রণ করতে। কিন্তু ও সে-কথা কাউণ্টকে না বলে, আমার কাছে এসে এক মিথ্যে গল্প বানিয়ে বললে । —তুমি অযথা রাগ করছে, নানা ! ফুচেরি কাউণ্টকে ঠিকই বলেছিল। —তবে সে এলো না কেন ? আমি জানি, কাউণ্টের আমার উপরে নজর of(V(2, তবুও••• -ওরকম অবুঝের মত কথা বললে চলবে কেন, নানা ! কাউণ্ট মাফাত কখনও এভাবে সদরে তোমার বাড়ীতে আসতে পারেন ? ভাদোভোর কথা শেষ হবার আগেই হঠাৎ বাঘের গর্জনের মত বিকট আওয়াজে চমকে উঠলো সবাই । So