পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নূন্য পরিহাস করে বললে—তাই নাকি ? ভাবনাটা কি খুব বেশি নাকি, ম্যানেজার ? ম্যানেজার বললো-যাও ! তোমার দেখছি সবেতেই ঠাট্টা!! আজি যে প্রিন্স তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন বলে খবর পাঠিয়েছেন, সে খবর রাখে ? -এত কাণ্ড ! তা কখন সে সৌভাগ্য হবে ? --তা ঠিক বলতে পারি না। এই সময় মাসিয়ে মিগনন। হঠাৎ ওখানে এসে নানাকে দেখে তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। নানা যেন দেখেও দেখতে পেলে না তাকে-এইভাবে নিজের কামরার দিকে চলে গোল করমর্দন না করেই। মিগনন এত লোকের মাঝখানে এইভাবে অপদস্থ হয়ে কিছুক্ষণ বোকার মত তাকিয়ে থেকে গ্রীন রুম-ম্যানেজারকে বললো-স্টিনার আসেনি। আজ ? -না। তিনি তো প্যারীতে নেই এখন। --তাই নাকি ! কোথায় গেছে সে ? --তা ঠিক জানি না। শুনেছি, তিনি নাকি একখানা বাগানবাড়ী। কিনতে বাইরে গেছেন। -বাগানবাড়ী ! নানার জন্য বুঝি ? --তা ছাড়া আর কার জন্যে ! এই কথা শুনে সাইমনি আবার ফুট কাটলো-মাইরি ম্যানেজার ! নানার আজকাল খুব পড়তা চলছে! এই সময় হঠাৎ বোর্দেনেভ হস্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে গ্রীনব্রুম-ম্যানেজারকে ওখানে দেখে রাগে ফেটে পড়লে একেবারে । সে বললো—তোমার কি আক্কেল বলে কোন পদার্থ নেই নাকি ? তুমি জানো যে, আজ প্রিন্স আসবেন, তবু দেখছি। এখানে নোংরা, ওখানে আবর্জনা, এ সব কি ? শীগগির সাফ করিয়ে ফ্যালো এসব! 8.9