পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্দার আড়ালে নিজের নগ্ন দেহকে লুকিয়ে একটু রাগতভাবেই সে শুনিয়ে বললো—আপনার এ কি রকম আক্কেল ম্যানেজার মশাই ? জানেন যে আমি ড্রেস করছি, এ সময় হুটু করে কি বলে ঢুকে পড়লেন, বলুন তো ? ম্যানেজার একগাল হেসে বললো-আহ-হা, চটুছে কেন ? কে এসেছেন, একবার দ্যাখো ! ‘হিজ হাইনেস প্ৰিন্স-দ্য-আকোসি এসেছেন তোমার সঙ্গে দেখা করতে । নানা বললো-কিন্তু এ অবস্থায় প্রিন্সের সামনে যাই কি করে বলুন তো ? নানার ন্যাকামি দেখে হাড়ে চটে গেল ম্যানেজার। সে বললো-খুব হয়েছে! এইবার লক্ষ্মীটির মত বেরিয়ে এসে দিকি নি ? তুমি যে সাজিছিলে, তা আমিও জানি, আর ‘হিজ হাইনেসও জানেন ! আড়াল থেকে বেরিয়ে এলে প্ৰিন্স তো আর খেয়ে ফেলবেন না তোমাকে ? ম্যানেজারের এই কথায় প্ৰিন্স হেসে বললেন-ত কিন্তু ঠিক বলা भ्र न ! নানা তখন লজার ভান করে বললো- বেশ ! আমি তাহলে এই অবস্থাতেই বের হচ্ছি। প্ৰিন্স যেন আমাকে ক্ষমা করেন। প্রিন্স বললেন—সুন্দরী ! ক্ৰটি তোমার নয়, ত্রুটি হয়েছে আমাদের । কিন্তু একমুহূর্তের জন্য হলেও একবার যখন তোমার ঐ অনুপম দেহ-সৌন্দর্য দেখবার সুযোগ আমাদের হয়েছে, তখন সে সাধ আমাদের ভাল করেই মেটাতে দেবে আশা করি । প্রিন্সের কথা শেষ হইতেই পর্দার আড়াল থেকে বের হয়ে এল নানা । তার দেহ প্ৰায় অনাবৃত বললেই হয়। পরনে যে সিন্ধের পায়জামাটা ছিল, সেটা এতই সুন্ম যে, নানার দেহের প্ৰত্যেকটি খাজ পৰ্যন্ত দেখা যাচ্ছিলো তার ভিতর দিয়ে। তার সুঠাম উন্নত স্তনযুগল সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। প্রিন্স তো অবাক! 3b”