পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ কী চোখ-ঝলসানো রূপ ! এই অনুপম রূপরাশি যে একমাত্র রাজারাজড়াদেরই ভোগের উপযুক্ত ! বুড়ো মাকুইস আর বিগতযৌবন কাউন্টের অবস্থাও তখন রীতিমত कांश्लि। অভিনেত্রীর প্রসাধন-কক্ষে কাউণ্ট মাফাতের এই বোধ হয় প্রথম পদাৰ্পণ ! নানার নগ্ন-সৌন্দর্য দেখে কাউণ্টের শিরায় শিরায় উষ্ণ রক্তের স্রোত বইতে লাগলো। র্তার মনে তখন একমাত্ৰ চিন্তা-“কি করে একে হাত করা যায় ! এই সৌন্দর্য! একে যেমন করেই হোক, উপভোগ করতেই হবে।” ওদিকে বুড়ো মাকুইসের অবস্থাও তখন রীতিমত সঙ্গীন। লম্পটরা নাকি বুড়ো হলেই বেশি কামুক হয়। মাকুইসের দশাও তাই। এদিকে যবনিকার অন্তরালে যখন এই দৃশ্যের অভিনয় চলেছে, অন্যদিকে প্রেক্ষাগৃহের শত শত দৰ্শক তখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নানার জন্য। এই অঙ্কেই নানার পার্ট, তাই দেরি করবার উপায় নেই তার। সে তখন বাধ্য হয়ে ওঁদের সামনেই সাজ-পোশাক পরতে সুরু করলো। অর্কেস্ট্রা থেমে গেল । ম্যানেজার বললো-নানা প্ৰস্তুত ? নানা বললো -হঁ্য । প্রিন্সের দিকে তাকিয়ে মধুর হাসিতে তাকে আপ্যায়িত করে নানা বললো-আমাকে যে এখনই স্টেজে যেতে হবে, প্রিন্স ! প্রিন্স বললেন-থিয়েটার শেষ হলে আমার সঙ্গে দেখা না করে পালিও न किस्रु ! নানা মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল । 8ty