পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জর্জ ছোকরা তো খবরটা শোনা অবধি কি করে নানার সঙ্গে একবার দেখা করবে, সেই চিন্তাতেই অস্থির। তার সবচেয়ে ভয় মাকে। মা যদি ঘূণাক্ষরেও জানতে পারেন যে, নানার সঙ্গে তার পরিচয় আছে, তা হলে আর রক্ষা থাকবে না । অনেক ভাবনা-চিন্তা করে জর্জ এক মতলব বের করলো । সে সেদিন অসুখের ভান করে মাকে গিয়ে বললো-আমার বডড শরীর খারাপ করেছে, রাত্রে আর কিছু খাব না। আজ। মাদাম হিউজেন ব্যস্ত হয়ে উঠে ছেলের কপালে হাত দিয়ে দেখে বললেনকৈ, গা তো গরম হয়নি ? তবুও সাবধান হওয়া ভালো। তুমি বরং ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে । জর্জও তাই চাইছিলো। সে বললো-বেশ ! আমি তা হলে দোর বন্ধ করে শুয়ে পড়ছি । আজ আর আমাকে ডেকো না তোমরা । সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল । আঁধার একটু বেশি হতেই জর্জ খাটের নীচে থেকে একগাছা দড়ি বের করে জানালা গলিয়ে নীচে ফেলে দিল। তারপর সেই দড়িব প্ৰান্তটা খাটের পায়ার সঙ্গে বেঁধে জানাল দিয়ে সেই দড়ি ধরে ঝুলতে ঝুলতে বাড়ীর পেছনের বাগানের মধ্যে নেমে পড়লে । টিপ টপ করে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। বৃষ্টিতে ভিজে জর্জের জামা-কাপড় একেবারে সপাসপো হয়ে গেল । জর্জের কিন্তু সেদিকে মোটেই ভ্ৰক্ষেপ নেই। সে সেই ভিজে জামাকাপড়েই নানার বাড়ীতে গিয়ে হাজির । কিন্তু বাড়ীর সামনে এসে নীচের ঘরে উজ্জল আলো আর অনেক লোকজন দেখে ঘাবড়ে গিয়ে সে বাড়ীর পিছন দিকে চলে গেল । অনেক চেষ্টায় পিছনের পাচিল টপকে পূর্বোক্ত সেই ফলের বাগানের ভিতরে পড়লো সে । R