পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দোতলায় নানার ঘরে তখন আলো জলছিলো। জর্জ সেই আলোক লক্ষ্য করে পাইপ বেয়ে জানালার কানিশের উপর উঠে দাড়াতেই নানার দৃষ্টি পড়লো। তার দিকে । হঠাৎ জানালায় মানুষের মাথা দেখে চোর মনে করে নানা চিৎকার করে উঠতে যাবে, এইসময় জর্জ বলে উঠলোঁ,-তুমি চেচিও না। আমি ! -আমি ! আমি কে ? -আমি জর্জ | -জর্জ ! তা তুমি এখানে কেন? শীগগির এসে ভিতরে। নানার আহবানে জর্জ সেই জানালা গলে ঘরের ভিতরে লাফ দিয়ে পড়েই উন্মত্ত আবেগে জড়িয়ে ধরলে নানাকে । সে সেই ভিজে জামাকাপড়েই নানাকে জাপটে ধরে তার মুখে আর গালে চুমোর পর চুমো দিতে লাগলো। অপ্রাপ্তবয়স্ক এই কিশোরটিকে নানা মনে মনে একটু স্নেহ করতো, ड्झे সে কিছুটা শাসনের সুরেই বললো-কী ছেলেমানুষি করছে। জর্জ ! খবর নেই, বার্তা নেই, এরকম করে জলে ভিজে, চোরের মতন জানাল দিয়ে কেউ আসে? ভ্যাগ্যিস কেউ দেখতে পায়নি! মালীরা দেখলে কি হতো বলে তো ? ? জর্জ বললো-অতো সব ভেবে দেখবার সময় ছিল না। তুমি ’এসেছএই খবর শোনা অবধি আমি পাগলের মত চেষ্টা করেছি, কি করে একবার দেখা করতে পারি তোমার সঙ্গে । নানা বললো-তা বেশ করেছে। এইবার লক্ষ্মী ছেলেটির মত ভিজে জামাকাপড়গুলো ছেড়ে ফেল দেখি। আলনা থেকে আমার একটা গাউন নিয়ে পরে ফেলো । ... 肇 来 米 米 এইরকম অপ্ৰত্যাশিতভাবে কিশোর জর্জকে শয্যাসঙ্গী পেয়ে খুশীই হলো নানা । এই কিশোরের ভালবাসায় ছিল একটা মধুর আবেগ । vo