পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গতিকে যদি সে এই কাউণ্ট-নন্দিনীকে বিয়ে করতে পারে, তা হলেই (kesi RCNs l এদিকে যখন এইভাবে পাইকারী হারে প্রেম চলেছে, ওদিকে নানার বাড়ীতেও তখন একেবারে নরক গুলজার’। প্যারী থেকে নানার থিয়েটারের বন্ধু-বান্ধবীরা দল বেঁধে এসে হাজির হয়েছে নানার বাড়ীতে । লা-বোর্দেতা, হেক্তর, গাগা, গাগার মেয়ে এমেলি, লুসি, কেরোলিনী, টাটান, নিনি এবং আরও অনেকে এসে জুটেছে তখন নানার বাড়ীতে । এইসব বন্ধুদের পেয়ে খুশীই হলো নানা । সে যে এখন সামান্য ‘ব্যালে-গাল নয়, এই কথাটা ভালো করে বুঝিয়ে দিতে সেদিন বিরাট রকমের ভোজই দিয়ে ফেললো নানা । শনিবার । -রোববারের দিনটা একটু আনন্দ করে কাটালে কেমন হয় ? প্ৰস্তাব করলো হোকৃতির। প্ৰস্তাবটা নানারও খুব মন:পুত হলো । সে বললো-চমৎকার প্রস্তাব ! চলো, আমরা সবাই মিলে কাল পাহাড়ে গিয়ে চড়ইভাতি করে আসি, কেমন ? লুসি বললো—এর চেয়ে ভাল প্ৰস্তাব আর কিছু হ’তেই পারে না ! লা-বোর্দেত বললো-ঠিক ঠিক ! ওখান থেকে ফিরবার পথে “অ্যাবিদ্য-চ্যােমণ্ট’-এর প্রাচীন সৌধগুলির ধ্বংসাবশেষও দেখে আসা যাক, কি বলে ? “অ্যাবি-দ্য-চ্যামিণ্ট' জায়গাটা ইতিহাসপ্ৰসিদ্ধ। এদিকে কাউণ্ট মাফাতের অবস্থা তখন রীতিমত সঙ্গীন । এতো লোকের সামনে নানার বাড়ীতে ঢোকা তার পক্ষে কঠিন। কারণ জানাজানি হয়ে গেলে একেবারে কেলেঙ্কারির একশেষ হবে। বাধ্য হয়েই তাই মনের আশা মনেই লুকিয়ে রাখলেন কাউণ্ট ।