পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাউণ্ট মাফাত অলক্ষ্যে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন স্টিনারকে নানার গাড়ীতে দেখে। মাকুইস-দ্য-কুয়ার্দ রাস্তার পাশের একটা ঘাসের ডগা ছিড়ে নিয়ে অন্যমনস্কভাবে নাড়াচাড়া করতে লাগলেন । ভাদোভো লুসির দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে কি যেন বলে নিলো এক ফাকে । এদিকে যখন এইসব ব্যাপার চলেছে, ওদিকে লুসি তখন গলা বাড়িয়ে স্টিনারকে জিজ্ঞাসা করছিল—ঐ লম্বামত মেয়েছেলেটি কে, ব্যাঙ্কার ? —উনিই তো কাউণ্টেস স্যাবাইন ! এই কথা শুনে নানা একবার দেখে নিল কাউন্টেসকে ! দেখা হয়ে গেলে বললো-উনিই তিনি ? আমি তো তা হলে ঠিকই অনুমান করেছিলাম। --কি অনুমান করেছিলে বলে তো ? জিজ্ঞাসা করলে স্টিনার। নানা বললো—তোমাদের কাউন্টেসটি ইদানিং সম্পাদক সাহেবের প্ৰেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। -বলে কি ! —তা বলি কি ! উনি কাউণ্টেসই হোন, আর যা-ই হোন, মেয়েমানুষ হিসাবে উনি আমাদেরই স্বগোত্রের। হঠাৎ জর্জের দিকে দৃষ্টি পড়লো নানার। ভয়ে বেচারার মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল মাকে দেখে। বাড়ী গিয়ে মাকে কি বলবে, এই ভাবনাতেই সে অস্থির হয়ে উঠেছিল। ওঁর অবস্থা দেখে দুঃখ হ’লে নানার। সে বললে—তুমি খুব ঘাবড়ে গেছ, তাই না ? জর্জ তার দু'চােখের ভয়ার্ত দৃষ্টি দিয়ে নানার মুখের দিকে একবার তাকিয়েই আবার মাথা নত করলো। মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হ’ল না। তার ।