পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আট নানা সেই পল্লী-ভবন থেকে ফিরে আসবার তিনমাস পর একদিন রাত প্ৰায় এগারটার সময় কাউণ্ট মাফাতকে দেখতে পাওয়া গেল ভ্যারাইটি থিয়েটারের সামনের রাস্তায় পায়চারি করতে। বলা বাহুল্য, নানার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ঐ দিন বিকেলে নানার কাছ থেকে একখানা চিঠি পেয়েছিলেন যে, তিনি যেন সেদিন না আসেন তার বাড়ীতে ; কারণ, সে তার ছেলেকে দেখতে যাবে। কাউন্টের কিন্তু বিশ্বাস হয় নাই একথা। র্তার ধারণা যে, নানা তাকে ভাওতা দিয়েছে । রাস্তায় পায়চারি করতে করতে কত কথাই মনে হচ্ছিল তার। এই তিনমাসে নানার জন্য তিনি কি কিছুই করেন নাই ? নানা যখন যা আব্দার করেছে, তখনই তার, সে আব্দার তিনি পূর্ণ করেছেন। নিজের মানসন্ত্রম, এমন কি বংশগৌরব পর্যন্ত জলাঞ্জলি দিয়ে নানার পিছনে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নানার মুখের একটু হাসি, একটু সোহাগের কথা, একটুখানি আদর পাবার আশায় জলের মত টাকা খরচ করেছেন তিনি। আর সেই নানা কিনা আজ মিথ্যেকথা বলে দূরে রাখতে চাইছে তাকে ! মনে মনে রাগও হচ্ছিল তার । তিনি মনস্থ করলেন যে, আজ নানার সঙ্গে দেখা করে একটা হেস্তনেস্ত করবেন। তিনি। হঠাৎ তার লক্ষ্য পড়লো, আরও একটি লোক থিয়েটারের সামনে দাড়িয়ে বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। লোকটাকে দেখে পয়সাওয়ালা বলেই মনে হলো কাউণ্টের। লোকটাকে নানার প্রণয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে, কাউন্টের মনের মধ্যে ঈর্ষার আগুন জলে উঠলো । \ატ\59