পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাস্তার দু’ধারে সুসজ্জিত বিপণি-শ্রেণী । দোকানগুলোর দিকে তাকিয়ে নানার মনে হ’লে ছেলেবেলার কথা । কতদিন সে এইসব দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটেছে ! ছেলেবেলায় যখন সে ছেড়া জামা গায়ে দিয়ে ভিখিরী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ভিক্ষা করে বেড়াতো এই রাস্তায়, তখনকার দিনের কথা মনে হ’লো তার। এইসব দোকানের দিকে তাকিয়ে তখন সে ভাবতে-“যদি কোন ভদ্রলোক তাকে দু’খানা বিস্কুটঃ কিনে দিত!” ছেলেবেলাকার সেই দুঃখের দিনের কথা মনে আসতে নানার মনটা কেমন যেন হয়ে গেল । সে কাউণ্টকে বিদায় করবার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলো। কাউন্টের সাহচৰ্য মোটেই ভাল লাগছিল না তার। সে বললো-তুমি এখন তোমার বাড়ী যাবে তো ? কাউণ্ট বললেন-না, আমি তোমার ওখানেই যাবো । নানা বিরক্ত হলো কাউণ্টের কথা শুনে । সে ভাবলো লোকটা যেন ছিনে জোক । ও নিশ্চয়ই, বুঝতে পারছে যে, আমি ওকে বিদায় করতে চাইছি। কিন্তু তবুও পেছন ছাড়ছে না। আপদটা ! ‘কাফে আল্পস’-এর সামনে দিয়ে যেতে যেতে নানা হঠাৎ বলে বসলোভয়ানক খিদে পেয়েছে আমার, চলে এখান থেকে কিছু খেয়ে নিই। এই বলেই কাফের ভিতরে ঢুকে পড়লো নানা । নানার কোন কাজে বাধা দেবার ক্ষমতা কাউণ্টের ছিল না, তাই ইচ্ছে না থাকলেও নানার সঙ্গে কাফেতে ঢুকে পড়লেন কাউণ্ট । কাফের ভিতরটা তখন জমজমাট। প্রায় প্রত্যেক টেবিলেই কেউ না কেউ বসে। নানা হলঘরের ভিতর দিয়ে সোজা হেঁটে গিয়ে একটা প্ৰাইভেট চেম্বারে ঢুকতে যাবে, এমন সময় পাশের চেম্বার থেকে কোন চেনা লোকের তৈাসির আওয়াজ শুনতে পেলে সে । )و