পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই বলেই নানা ওখান থেকে চলে গেল। কাউন্ট তখন কামরায় বসে । আঙ্গুল কামড়াচ্ছলেন। নানাকে দেখে কাউণ্ট একটু বিরক্তভাবেই বললেন-অ্যাখো নানা, আমার সঙ্গে যখন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করবে, সে সময়টা যার-তার সঙ্গে আলাপ কোরো না। জানি তো, আমার একটা প্রেস্টিজ আছে ! নানা এই কথায় অপমানিত বোধ করে বললো-তা তো বটেই! তুমি তা হলে বরং আমার সঙ্গে মেলামেশা ছেড়ে দাও । কাউণ্ট দেখলেন যে, কথাটা বলে মহাবিভ্ৰাট বাধিয়ে ফেলেছেন তিনি । তাই তিনি নানাকে খুশী করবার জন্যে একথা সেকথা বলে তাকে ভোলাতে চেষ্টা করতে লাগলেন। খেতে বেশি দেরি হলো না ওদের । খাওয়া হয়ে গেলে নানা আর একবার চেষ্টা করলো কাউণ্টকে বিদেয় করতে। কিন্তু সে কিছুতেই যাবে না দেখে, অগত্যা বাড়ীতেই নিয়ে চললো তাকে সঙ্গে করে । বাড়ীতে এসে বসে নানা বললো-আজকের ‘ফিগারো” পত্ৰিকাখানা পড়েছে ? -6कन ! कि अigछ डां0ङ ? -থাকবে। আর কি ! আমার সম্বন্ধে পাতা তিনেক কেচ্ছা লিখেছে। ফুচেরি। কাউণ্ট বললেন-কৈ, দেখি ? নানা পত্রিকাখানা টেবিলের উপর থেকে নিয়ে কাউন্টের হাতে দিতেই, তিনি থিয়েটার-সমালোচনার পৃষ্ঠাটা পড়তে আরম্ভ করলেন। প্ৰবন্ধের ভিতরে নানার নামোল্লেখ কোথাও নেই, কিন্তু ওটা যে নানাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা, এটা বুঝতে দেরি হয় না। ۹ وي