পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যা লেখা হয়েছিল, তার সারমর্ম হচ্ছে এই ; “যে গণিকাটির কথা লেখা হচ্ছে, লোকে বলে, এ-ও নাকি একজন অভিনেত্রী। এ যদি অভিনেত্রী হয়, তাহলে আরশোলাও পাখী ! প্যারীর কোন পূতিগন্ধময় নর্দমায় জন্ম হলেও এই গণিকা আজ সমাজের গণ্যমান্য লোকদের, এমন কি মাননীয় রাজপুরুষদের পর্যন্ত নাচিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। দেহের ফাদ পেতে এ শিকার ধরে বেড়াচ্ছে। দুষ্ট ক্ষতের মত এ যার গায়ে একবার বসছে, তারই সর্বাঙ্গ বিষদুষ্ট করে ছাড়ছে।” প্ৰবন্ধটা পড়ে কাউণ্টের মনে হ’লে যে, তাকেই কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে এটা। কাউণ্ট চুপ করে বসে কত কি ভাবতে লাগলেন : “সত্যিই তো ! কত নীচে নেমে গেছি আমি !” লেখাটি পড়ে কাউণ্টের যেন কাণ্ডজ্ঞান ফিরে এলো। নানার দিকে তাকিয়ে তঁর মনে হতে লাগলো-“এই সর্বনাশী নারীই আমাকে ধাপে ধাপে নরকের পথে টেনে নিয়ে চলেছে আজ !” কাউণ্ট অস্থিরভাবে ঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তার মনের মধ্যে তখন দু'রকম ভাবের দ্বন্দ্ব চলতে লাগলো---প্ৰবৃত্তির তাড়না, আর বিবেকের দংশন। শেষ পর্যন্ত প্ৰবৃত্তিরই জয় হলো । বিবেকের হলো পরাজয়। তিনি একরকম ছুটে গিয়ে নানাকে সবলে জড়িয়ে ধরে বুকের ভিতরে টেনে নিয়ে পিষে ফেলতে লাগলেন । কাউণ্টের প্রেমের এই পাশবিক অভিব্যক্তিতে নানা একেবারে ক্ষেপে গেল। সে সজোরে ধাক্কা দিয়ে কাউণ্টকে দূরে ঠেলে দিয়ে বললোচলে যাও ! দূর হও তুমি এখান থেকে ! বর্বর। পশু কোথাকার! নানার ভৎসনায় কাউণ্ট মুখ নীচু করে বসে রইলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে, কাজটা অমানুষিকই হয়ে গেছে তার । নানা ভাবলো, অপমানিত হয়ে কাউণ্ট বোধ হয় এবার উঠবে। किङ् cकां५ांभ ? Vr