পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উঠবার কোন লক্ষণই যে নেই! ওদিকে নানার শোবার ঘরে তখন অন্য একজন লোক বসে ছিল । লোকটার সঙ্গে আগে থেকেই ব্যবস্থা করা ছিল নানার, কিন্তু কাউণ্টকে বিদেয় করতে না পারলে যে সবই গোলমাল হয়ে যাবে। নানা তখন মোক্ষম দাওয়াই দেবে ঠিক করে বললো-আচ্ছা কাউণ্ট ! তোমার স্ত্রী তোমাকে ভালবাসে ? নানা হঠাৎ পারিবারিক প্রশ্ন তুলতে কাউণ্ট বিরক্ত হয়ে বললেনতোমাকে না বলেছি যে, কাউণ্টেসের সম্বন্ধে কোন কথা তুমি বলবে না ! —কেন বলবো না ? বললে কি তোমার বউয়ের সতীত্ব ক্ষয়ে যা.ে নাকি ? সতী যে কে কত বড়, তা সবারই জানা আছে। তবে কেউ ডুবে ডুবে জল খায়, আর আমরা না হয় সদরে কারবার করি, এইটুকুই যা তফাত । কাউণ্টের আর সহ্যু হলো না, তিনি হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে নানার গলা টিপে ধরে বললেন—কি ! বাজারের মাগী হয়ে তোর মুখে এত বড় কথা ! কাউণ্টেসের চরিত্র সম্বন্ধে কথা বলতে সাহস পাস তুই! এই বলে ধাক্কা দিয়ে মেঝের উপরে ফেলে দিলেন। তিনি নানাকে । নানাও রাগে একেবারে সাপের মত ফোস করে উঠে বললে—তবে রে ড্যাগীরা মিনসে ! তুই আমার গায়ে হাত দিতে সাহস পাস! তোর বউ যে আজ ফুচেরির ঘরে ফুর্তি করছে, সে খবর রাখিস তুই ? হারামজাদা লম্পট কোথাকার! বেরে। তুই এখা খুনি আমার বাড়ী থেকে ! নানা যে এভাবে অপমান করবে বা করতে পারে, কাউণ্ট মাফাত হয়তো কল্পনাও করেন নি। সে কথা । তিনি একেবারে থ’ হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ চুপ করে দাড়িয়ে কি যেন ভাবতে লাগলেন তিনি। তারপর হঠাৎ পাগলের মত ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন কোন কথা না বলে । নানা এতক্ষণ ওঁর ভাবগতিক লক্ষ্য করছিল। তাই কাউণ্ট চলে যেতেই সে একেবারে খিল খিল করে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে সে w G