পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাউন্টেসকে ঐ সময়, ঐ অবস্থায়, ওখানে দেখে মাথার মধ্যে আগুন জ্বলে উঠলো তার। র্তার একবার মনে হলো যে, তখনই তিনি ছুটে যান ওদের সামনে, কিন্তু পরীক্ষণেই পারিবারিক কেলেঙ্কারির কথা মনে করে মনের ইচ্ছা দমন করলেন তিনি। র্তার পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে যাচ্ছিলো। পাগলের মত টলতে টলতে ওখান থেকে চলে গেলেন। তিনি। কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, কার কাছে যাচ্ছেন,-কিছুই খেয়াল নেই তার। সারাটা রাত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে লাগলেন তিনি। পূবের দিক ফস। হয়ে এলো, কিন্তু কাউণ্ট তখন ও হাটছেন। তার পোশাক দিয়ে টসটস করে। জল পড়ছে। চুলগুলো রুক্ষ এবং এলোমেলো হয়ে গেছে। মাথায় টুপি নেই। চোখ দুটো জবাফুলের মত রাঙা। জুতা থেকে পাত লুনের হাটু পর্যন্ত কাদামাখা। কে বলবে যে, ইনি একজন মহাসম্মানিত কাউণ্ট ! হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন যে, নানার বাড়ীর ফটকের সামনে এসে গেছেন তিনি। কি মনে করে সদর দরজায় কড়া নাড়তে লাগলেন। কিছুক্ষণ পরে জে এসে দরজা খুলে দিতেই কাউণ্টের অবস্থা দেখে অবাক হয়ে গেল। সে । কাউণ্টের অবস্থা দেখে দয়া হলো জো’র। সে বললো-এ কি ! আপনার একি অবস্থা ! কাউণ্ট বললেন-নানা ঘুম থেকে উঠেছে ? জো বললে-না, এখনও ওঠেন নি। সারারাত মাথার যন্ত্রণায় কষ্ট পেয়ে ভোরের দিকে ঘুমিয়েছেন। আপনি বরং একটু বলুন, আমি দেখছি দিদিমণি জেগেছেন। কিনা ৷ নানা কিন্তু জেগেই ছিল। কাউন্টের কথার আওয়াজ পেয়ে নানা যেন ক্ষেপে গেল। নিজের মনেই সে বললো-কি আশ্চর্য! লোকটার দেখছি লজ-সরম কিছুই নেই! y