পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R হয়েছিল ; ক্যাপ্টেন’ ড়েফাস-এর মামলায় তদানিন্তন সাময়িক কর্তৃপক্ষকে তিনি যেভাবে সরাসরি আক্রমণ করে তার সুবিখ্যাত গ্ৰন্থ “I accuse” রচনা করেন। আর তারই ফলে ক্যাপ্টেন ড়েফাস মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু ক্যাপ্টেন ড্রেফ্যাস মুক্তি পেলেও জেলার উপরে পড়লো রাজরোষ। সামরিক বিভাগের গোপন তথ্য ফাস করে দেবার মিথ্যা অভিযোগে উক্ত ক্যাপ্টেনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এই মিথ্যাকে খণ্ডন করেই রচিত হয় জেলার সুবিখ্যাত পত্ৰ “I accuse” । কিন্তু ক্যাপ্টেনকে রক্ষা করতে গিয়ে জোলাকে পালিয়ে যেতে হয়। লণ্ডনে । ১, ০২ খৃষ্টাব্দে এই বিখ্যাত সাহিত্যিকের জীবনাবসান হয় প্যারীর এক অখ্যাত বাড়ীর অন্ধকারময় ঘরে । জানা যায় যে কাঠকয়লার ধোয়া থেকে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের ক্রিয়াতেই তঁর মৃত্যু হয়। জোলার মৃতদেহ সমাহিত করা হয় অতি সাধারণ ভাবেই। অবশেষে তঁর মৃত্যুর পর যখন কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন যে একমাত্র এমিল জেলার কৃতিত্বেই ক্যাপ্টেন ড্রেফাস-এর জীবন রক্ষা হয়েছে, তখন তার মৃতদেহের কঙ্কালটি কবর থেকে তুলে নিয়ে,সাময়িক সম্মানের সঙ্গে আর একবার সমাহিত করা হয়। এ যেন :– “জীবনে যারে কভু দাওনি মালা, মরণে তারেই তুমি দিতে এলে ফুল।”