পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a দেখলে৷ যে, এরপর কোন কথা বলতে গলে ঝগড়া হওয়া अनिवार्थ, তাই সে কোন কথা না' বলে রান্নাবান্নার যোগাড়ে লেগে গেল। আরও কয়েকদিন পরের কথা । নানা সেদিন কি একটা কাজে বাইরে গিয়েছিল। বাড়ীতে ফিরতে বেশ বুৱাত হয়ে গেল তার । , কিন্তু বাড়ীতে এসে যে দৃশ্য সে দেখলো, তাতে তার মাথার ভিতরে আগুন জ্বলে উঠলো। নানা ঘরে ঢুকতেই দেখতে পেলে যে, থিয়েটারের সেই অভিনেত্রীট ভারই শয্যায় শায়িত রয়েছে ফণ্টানের সঙ্গে । এ দৃশ্য সহ হ’লে না। নানার। মেয়েটিকে লক্ষ্য করে গালাগালি দিয়ে বলে উঠলে সে-তুই কে রে গতরখাকী ? আর জায়গা পেলিনে রে ঘাটের মড়া ? এক্সে একেবারে আমার খাটের উপরে ঠাকরুণ সেজে বসেছিস ? নানার মুখের কথা শেষ না হতেই ফণ্টান হঠাৎ খাট থেকে লাফ দিয়ে নেমে এসে সজোরে গলা টিপে ধরলো নানার। এইভাবে হঠাৎ আক্রান্ত হয়ে নানা একেবারে হকচকিয়ে গেল । সে কিছু করবার আগেই ফণ্টান তাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল বারান্দার উপরে । আঘাতের যন্ত্রণায় কাতরোক্ত করে উঠলো নানা, কিন্তু ফণ্টান সেদিকে ভ্ৰান্ধক্ষেপও না করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল । ফণ্টানের হাতে এইভাবে মার খেয়ে নানা দুঃখে, লজ্জায় আর অপমানে পাগলের মত হয়ে রাস্তায় নেমে এলো। নিদারুণ শীতে ঠকঠক করে কঁাপিতে কঁাপিতে সে পথ দিয়ে চলতে লাগলো । তার হাতে তখন এমন একটা পয়সা ছিল না যে, গাড়ী ভাড়া করে। yr 8