করিয়া বলিলেন, “ডড্লে, আমি তোমার আমোদ-প্রমোদে বাধা দিতে চাহি না, কিন্তু নাচের পর যদি তুমি সময় পাও,—তাহা হইলে একবার আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবে। তোমাকে এমন একটি খবর দিব—যাহা শুনিয়া তোমার আনন্দের সীমা থাকিবে না।”
ডড্লে বলিলেন, “আপনার আদেশ শিরোধার্য্য। আপনি যখন বলিবেন— সেই মুহূর্ত্তেই সাক্ষাৎ করিব।”
এড্মিরাল বলিলেন, “না, না, তোমার অত ব্যস্ত হইবার আবশ্যক নাই। সে কথা এখনই বলিতে হইবে—এরূপ মনে করিও না, বিলম্বে বলিলেও কোন ক্ষতি নাই। এখন তুমি যাইতে পার, তোমার সুবিধা অনুসারে এক সময় আমার সহিত দেখা করিলেই চলিবে।”
ডড্লে প্রস্থান করিলেন, কিন্তু এড্মিরাল কি সুসংবাদ দিবেন, তাহা বুঝিতে না পারিয়া তাঁহার মন কিঞ্চিৎ চঞ্চল হইল। যাহা হউক, তিনি মানসিক চাঞ্চল্য গোপন করিয়া বারান্দায় আসিলেন, এবং যে যুবতীর সহিত তাঁহার নাচিবার কথা, তাঁহাকে খুঁজিতে লাগিলেন। হঠাৎ কে একজন পশ্চাৎ দিক হইতে আসিয়া তাঁহার স্কন্ধে হস্তস্থাপন করিলেন।
ডড্লে সবিস্ময়ে মুখ ফিরাইয়া দেখিলেন, আগন্তুক তাঁহারই একটি বন্ধু,— একজন টর্পেডো লেফ্টেনাণ্ট। আগন্তুক ডড্লেকে সহাস্যে বলিলেন, “ব্যাপার কি হে ছোক্রা!–অল্পক্ষণ পূর্ব্বে তুমি দেবতাদের দলে মিশিয়া তাহাদের সহিত সমকক্ষের মত গল্পগুজব করিতেছিলে, দেখিয়া প্রথমটা ত আমার চক্ষুকে বিশ্বাস করিতেই পারি নাই। যাহারা আমাদিগকে কীটপতঙ্গের মত দেখে, তাহাদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠতা, আলাপ আপ্যাত তোমার সৌভাগ্য ত কম নয়, দেখিয়া আমাদের মত আদার ব্যাপারীর হিংসা হয়। কিন্তু ভাই, সত্য কথা বলিতে কি—ঐ যে লাট বেলাটগুলো, উহারা সোজা চিজ্ নয়, ও সকল কুসংসর্গে না মেশাই ভাল। লাট সাহেব কি মৎলবে তোমায় ডাকিয়াছিল বল ত।”
ডড্লে হাসিয়া বলিলেন, “টর্পেডো লেফ্টেনাণ্টের পদটি এবালিস্ করা