হইল। তাহার মুখ চূণ হইয়া গেল কিন্তু কয়েক মিনিট পরে প্রকৃতিস্থ হইয়া সে ষ্টুয়ার্ডকে বলিল, ‘কোন ভয় নাই, আমি ঔষধ দিতেছি, তাহা খাইলেই তুমি সুস্থ হইবে। তোমাকে এত ভালবাসি যে, তোমার অসুখের কথা শুনিয়া আমার মন অস্থির হইয়াছে।—যাহা হউক, তুমি বাপু এ কথা আর কাহারও নিকট প্রকাশ করিও না। খাদ্যদ্রব্য কোন কারণে বিষাক্ত হইয়াছে শুনিলে জাহাজের সকল লোকের মনে অত্যন্ত আতঙ্ক হইবে, তাহা প্রার্থনীয় নহে।”
ডড্লে বলিলেন, “কিন্তু ব্রথ্টা কিরূপে বিষাক্ত হইল, সে সম্বন্ধে ডাক্তার কোন কথা বলিয়াছে?”
পাচক বলিল, “হাঁ বলিয়াছে, শয়তানটা আমারই ঘাড়ে দোষ চাপাইয়াছে। বলিয়াছে, বাবুর্চ্চির দোষেই এ বিভ্রাট ঘটিয়াছে, সে বিষাক্ত টিন খুলিয়া ব্রথ্ প্রস্তুত করাতেই তোমার এই দশা। যদি তোমার মৃত্যু হয়—তাহা হইলে সেজন্য বাবুর্চ্চিই দায়ী।’—আপনার কাছে সকল কথা না শুনিলে ত মনে করিতাম আমিই এজন্য দায়ী।
ডড্লে বলিলেন, “মিস, এরস কাইনকে হত্যা করিবার জন্য যে ষড়যন্ত্র হইয়াছে তাহা তুমি জানিতে পারিয়াছ, একথা ত প্রকাশ কর নাই?
পাচক বলিল, “আমি কি পাগল যে, সে কথা লইয়া আন্দোলন করিব? আমি ত সকলই বুঝিতে পারিতেছি।—যাহা হউক, ল্যাম্পিয়ন যতই বড় লোক হউক, তাহাকে সায়েস্তা না করিয়া ছাডিতেছি না, বিষ দিয়া সে মানুষ মারিবার চেষ্টা করিতেছে। এতবড় শয়তানী?”
ডড্লে বলিলেন, “দেখ ব্লেক, ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন ও জাহাজের কাপ্তেন মিস, এরস কাইনকে হত্যা করিবাব জন্য কি ভীষণ ষড়যন্ত্র করিয়াছে, তাহার ত অকাট্য প্রমাণ পাইলে?—আমার কথায় কি এখনও তোমার অবিশ্বাস আছে?
পাচক বলিল, “না মহাশয়, আর কিছুমাত্র অবিশ্বাস নাই। আপনার সকল কথাই যে সত্য, তাহা বুঝিতে পারিয়াছি। আপনার কথা প্রথমে অবিশ্বাস করিয়াছিলাম, সেজন্য আপনি কিছু মনে করিবেন না।”
ডড্লে বলিলেন, “আমি তোমার নিকট নিজের পরিচয় দিয়াছি। আমি ত