না—ইহাও বলিতে পারি না। নারীহত্যায় বাধা দিতে হইলে বোট চুরী না করিয়া উপায় কি? কিন্তু এ কাযে আপনার সাহায্য করা আমার পক্ষে সঙ্গত হইবে না। আমি জাহাজের কর্ম্মচারী, জানিয়া-শুনিয়া জাহাজের জিনিস চুরীর সহায়তা করিতে পারিব না, টাকার লোভে বিশ্বাসঘাতকতা করিব না। —এ কাযটা আপনাকে নিজের চেষ্টায় করিতে হইবে।”
ডড্লে বলিলেন “কিন্তু কিছু খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় সংগ্রহের কি উপায় হইবে? যদি তুমি বোট-সংগ্রহে আমাকে সাহায্য না কব—তাহা হইলে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহেই-বা কিরূপে সাহায্য কবিবে?”
পাচক বলিল, “তাহাতে কোন অসুবিধা হইবে না। মিস্ এরস্কাইন ত জাহাজে তাঁহার খোরাকীর টাকা জমা দিয়াছেন,—নিশ্চয়ই দিয়াছেন। সুতরাং তিনি গন্তব্য স্থানে যতদিন না পঁহুছিবেন, ততদিন জাহাজের খাদ্যসামগ্রীতে তাহার ন্যায়তঃ দাবী আছে। এ অবস্থায় তাঁহার থোক তাঁহার সঙ্গে দিতে আপত্তি কি?
ডড্লে বলিলেন, “তুমি সঙ্গত কথাই বলিয়াছ। তাহা হইলে খাদ্য-সামগ্রী ও পানীয় সম্বন্ধে আমি নিশ্চিন্ত থাকিতে পারি।—বোটখানি সম্বন্ধে কি করিব শোন। আমি আত্মপরিচয় দিয়া কাপ্তেনের নামে তোমাকে একথানি পত্র দিব, সেই পত্রখানি তুমি এমন কোন স্থানে রাখিয়া দিবে—যেন কাপ্তেন সহজে তাহা দেখিতে পায়। আমি সেই পত্রে লিখিব—আমি বিশেষ প্রয়োজনে বোটখানি ভাড়া লইলাম, ইংলণ্ডেশ্বরীর যুদ্ধ জাহাজ ‘করিওলেনসে’র লেফটেনাণ্ট ডড লের নিকট দাবী করিলেই ভাড়ার টাকা তাহার হস্তগত হইবে। ভাড়ার পরিমাণ যাহাই হউক, তাহাতে আপত্তি হইবে না।”
পাচক বলিল, “হাঁ, এ রকম করিলে চলিতে পারে।—এরূপ করিলে বোট চুরী করা হইবে না, আমিও আপনাকে সাহায্য করিতে পারি। সকল কথা ত স্থির হইল, আমাকে আর কি করিতে হইবে?
ডড্লে বলিলেন, “বোটখানি জলে নামাইবার সময় তোমার সাহায্য চাই। তাহার পর তোমাকে আর কিছু করিতে হইবে না।”