ইঁহার মত সুযোগ্য ও সুরসিক অভিনেতা নৌ-কর্ম্মচারিগণের মধ্যে আর কেছ আছেন কি না তাহা জানি না।”
এইরূপে মিস্ এরস্কাইনের সহিত লেফ্টেনাণ্ট ডড্লের প্রথম পরিচয় হইল।—এটর্ণি-জেনারেলের রসিকতায় ডড্লে যে বিশেষ দুঃখিত হইলেন এ কথা বলা যায় না, তবে তিনি একটু লজ্জিত হইলেন বটে। কিন্তু এই ভদ্র লোকটির রসিকতা একটু স্থূল হইলেও তিনি বড় সহৃদয় ও খোলা মেজাজের লোক—ইহা ডড্লের অজ্ঞাত ছিল না, সুতরাং তাঁহার প্রগলভতায় তিনি বিরক্ত হইলেন না।
ডড্লে মিস্ এরস্কাইনকে বলিলেন, “মিস্ এরস্কাইন, আমার বোধ হয় আপনি এখন খুব ব্যস্ত। কিন্তু যদি আপনার বিশেষ অসুবিধা না হয়,—তাহা হইলে আপনার সঙ্গে আমাকে একবার নাচিবার অনুমতি দান করিলে আমি কৃতার্থ হই।”
মিস্ এরস্কাইন বলিলেন, “আমি এইমাত্র নাচের মজলিসে উপস্থিত হইয়াছি, এখন পর্য্যন্ত আর কেহ আমার সঙ্গে নাচিবার জন্য দরখাস্ত করে নাই, সুতরাং আপনার সঙ্গে নাচিয়া আপনাকে কৃতার্থ করিতে আমার আপত্তি নাই। কেপ্ টাউনে আমি তেমন পরিচিত নহি।”
তৎক্ষণাৎ নাচের বন্দোবস্ত হইল। ডড্লে মিস্ এরস্কাইনের কার্ডে নিজের নাম লিখিয়া বন্দোবস্তটি পাকা করিলেন, তাহার পর তিনি মিসের নিকট বিদায় লইলেন।
ডড্লে তৎপূর্ব্বে যে মহিলাটির সহিত নাচিবার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হইয়াছিলেন, তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ হইলে তিনি তাঁহাকে মিস্ এরস্কাইনের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। এই যুবতী মিস্ এরস্কাইনকে চিনিতেন, তিনি বলিলেন, “এই যুবতাটির পিতা মাতা উভয়েরই মৃত্যু হইয়াছে, প্রায় ছয় মাস পুর্ব্বে সে ইংলণ্ড হইতে কেপ্ কলোনিতে আসিয়াছে। তাহার পিতা গবর্মেণ্টের অধীনে কনট্রাক্টরের কার্য্য করিতেন। এই কার্য্যে তিনি ক্রমে লক্ষপতি হইয়া উঠিয়াছিলেন। মিস্ এরস্কাইন এদেশে আসিয়াই তাহার একটি সখীর