সহিত দেখা করিতে উত্তরাঞ্চলে গিয়াছিল। সেখান হইতে ফিরিয়া আসিয়া তাহার মামা ডাক্তার ল্যাম্পিয়নের গৃহে বাস করিতেছে। এই মামা ভিন্ন সংসারে তাহার আপনার বলিতে আর কেহই নাই।—আপনি বোধ হয় ডাক্তার ল্যাম্পিয়নকে জানেন?
ডড্লে বলিলেন, “তাঁহার সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই জানি না। একরাত্রে তিনি জাহাজের উপর আমার সহিত এক টেবিলে আহার করিয়াছিলেন; এদেশে আসিয়াও তাঁহার সহিত আমার কয়েকবার সাক্ষাৎ হইয়াছে।
যুবতী বলিলেন, “লোকটাকে বোধ হয় আপনার মনে ধরে নাই, সত্য কি না—ঠিক বলুন।” ডড্লে বলিলেন, “তাঁহার সম্বন্ধে যখন বিশেষ কিছু জানি না, তখন তাঁহাকে মনে ধরিয়াছে কি না কি করিয়া বলি? তাঁহাকে অপছন্দ করিবার কি কোন কারণ আছে?”
যুবতী বলিলেন, “এ আপনার মনের কথা নয়। দেখুন, আমি লোকের মনের কথা বলিয়া দিতে পারি।—আমার গণনা করিবার শক্তি আছে, আপনারও অদৃষ্ট-ফল গণিয়া বলিয়া দিতে পারি, আপনি কি তাহা জানিতে চাহেন?
ডড্লে কৌতূহলভরে বলিলেন, “আপনি অদৃষ্টের ফলাফল বলিতে পারেন?—আমার ভাগ্যে কি আছে তাহা জানিবার জন্য অত্যন্ত আগ্রহ হইয়াছে। আপনি কি হাত দেখিয়া গণনা করেন? না, অন্য কোন উপায়ে ভাগ্যফল পরীক্ষা করেন?”
যুবতী বলিলেন, “আমি করতলের রেখা দেখিয়া অদৃষ্ট ফল-গণনা করি, আপনার হাত দেখি।”
ডড্লে যুবতীর সম্মুখে দক্ষিণ করতল প্রসারিত করিলেন।
যুবতী মিনিট-দুই তাঁহার কররেখা পরীক্ষা করিয়া হাসিয়া বলিলেন, আপনার বয়স অল্প, আর আপনি উচ্চাভিলাষী, দেশ ভ্রমণেও আপনার অতান্ত অনুরাগ।”
ডড্লে হাসিয়া বলিলেন, “আপনি ত ভারি গণনা করিলেন। ওকথা