দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
ডড্লে মিস্ এরস্কাইনের হাত ধরিয়া তাঁহাকে তীরে নামাইলেন, তাহার পর বলিলেন, “আমরা ত কূল পাইলাম, কিন্তু নিরাপদ হইলাম কি না, কে বলিবে? এখন আমাদের কর্ত্তব্য কি, তাহারই আলোচনা করা আবশ্যক। চারিদিকের অবস্থা দেখিয়া মনে হইতেছে, এখানে আশ্রয় লাভের তেমন সুবিধা নাই। তবে দ্বীপের ভিতর অগ্রসর হইলে হয় ত মাথা রাখিবার মত একটা স্থান পাইতেও পারি। প্রথমে কিছু খাইয়া লওয়া যাউক, পরে কখন কোথায় কি জুটিবে-না-জুটিবে, কে বলিতে পারে? আহারান্তে গ্রামের সন্ধানে যাত্র করিব।—এতবড় দ্বীপে যে লোকালয় নাই, এরূপ ত মনে হয় না।”
মিঃ ডড্লের প্রস্তাবে কাহারও আপত্তির কারণ ছিল না।—মিঃ ডড লের ইঙ্গিতে ব্লেক বোটের উপর হইতে খাদ্যসামগ্রীগুলি নামাইয়া লইল, তখন তাঁহারা একটি তালগাছের নীচে বসিয়া ক্ষুন্নিবৃত্তি করিলেন। ডড্লে মনে মনে বলিলেন, “যদি কোন উপায়ে এই দ্বীপের নামটি জানিতে পারি—এবং এখান হইতে লামুর দূরত্ব কত—তাহা বুঝিতে পারি, তাহা, হইলেও আশ্বস্ত হওয়া যায়। কোথায় আসিয়াছি জানি না, কোথায় এই অরণ্যের শেষ, তাহাও বুঝিতে পারিতেছি না, কোন দিকে যাইলে যে একটু আশ্রয় মিলিবে, তাহা অনুমান করাও অসম্ভব। এ অবস্থায় কি করিয়া আশ্বস্ত হইব?
আহারান্তে ডড্লে মিস্ এরস্কাইনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “নৌকাখানি এখানে রাখিয়া আমরা তিন জনেই যাইব, না আমরা দু’জনে যাইব, ব্লেক নৌকার পাহারায় থাকিবে?
মিস্ এরস্কাইন বলিলেন, “অজ্ঞাত স্থান, কোথাও আশ্রয় মিলিবে কি তাহার স্থিরতা নাই; আমরা সকলেই নৌকা ছাড়িয়া চলিয়া যাইলে এই