মিস্ এরসকাইনের সাহস যতই অধিক হউক, তিনি রমণীমাত্র। মিঃ ডড়লের কথা শুনিয়া তাহার মুখ শুকাইল, মাথা ঘুরিয়া উঠিল। তিনি অতি কষ্টে আত্মসংবরণ করিয়া ভগ্নস্বরে বলিলেন, “ভয়ানক বিপদের কথা বটে। কিন্তু এ বিপদ অধীর হইলে চলিবে না। মৃত্যুকবল হইতে আপনি একবার আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন, আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে—আপনার চেষ্টায় এ সঙ্কটেও আমার প্রাণরক্ষা হইবে —এখন আপনি কি কর্তব্য স্থির করিয়াছেন, বলুন।”
মিঃ ডড্লে উপস্থিত কর্তব্য সম্বন্ধে পাচককে যে সকল কথা বলিয়াছিলেন, মিস্ এরসকাইনকেও তাহাই বলিলেন। তাহা শুনিয়া মিস, এরসকাইন বলিলেন, “আপনার এই প্রস্তাবই সঙ্গত মনে হইতেছে। টাকার জন্য আপনি চিন্তা করিবেন না। আমি জানি আপনি নিঃসম্বল, কিন্তু আমি ত নিঃসম্বল নহি, আমার নিকট যাহা কিছু আছে—সমস্তই আপনার হস্তে প্রদান করিতেছি। আপনি নেটিভ সর্দারের সহিত সাক্ষাত করিয়া—সে যাহা চায়, তাহাই তাহাকে দান করিতে প্রতিশ্রুত হউন, তাহাকে বলুন—সে যদি আমাদিগকে মোম্বাসায় বা জাঞ্জিবারে নিরাপদে পৌছাইয়া দেয়, তাহা হইলে তাহাকে প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান করা হইবে। তাহাকে আগাম কিছু দিলেও ক্ষতি নাই, কিন্তু সে যে বিশ্বাসঘাতকতা করিবে না—এ সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হওয়া আবশ্যক।—আপনি কথ তাহার সহিত দেখা করিতে যাইবেন?
ডড্লে বলিলেন, “আজ রাত্রেই যাইব মনে করিয়াছি, কিন্তু সে কোথায় বাস করে অগ্রে তাহা জানা আবশ্যক, নতুবা এই রাত্রিকালে জঙ্গলে-ঙ্গলে তাহাকে কোথায় খুঁজিয়া বেড়াইব? এই দ্বীপে যখন লোক আছে-তখন নিশ্চয়ই তাহাদের বাসস্থান আছে, এবং তাহাদের একজন প্রধানও আছে। আপনি এখানেই থাকুন, কে আপনার পাহারায় থাকিবে। আমি কায শেষ করিয়া যত শীঘ্র পারি এখানে ফিরিয়া আসিব।”
মিস এরসকাইন বলিলেন, “তবে আর আপনি বিলম্ব করিবেন না, পরমেশ্বর আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করুন। তিনি অসহায়ের সহায়, বিপন্নের