আমি আপনাকে পাঁচশত গিনি পুরস্কার দিব।—আপনি এই প্রস্তাবে রাজী আছেন?
হাবসী সর্দ্দার তাহার পাগড়ী খুলিয়া একবার মাথাটা চুকাইয়া লইল, তাহার পর ডড্লেকে বলিল, “হ, ইহাতে চলিতে পারে বটে, কিন্তু বড়ই ঝুঁকির কায। তবে আমি তোমাদিগকে সেখানে পৌছাইয়া দিলে তুমি যে আমাকে পাঁচশত গিনি গণিয়া দিবে—তোমার এ কথা আমি কি করিয়া বিশ্বাস করি। সেখানে গিয়া গিনি না দিয়া যদি আমাকে ফাঁকি দাও?”
ডড্লে বলিলেন, আপনি আমাদের প্রাণরক্ষা করিবেন, আর আমি আপনাকে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়া ফাঁকি দিব?—না, আমি সেরূপ ‘বেইমান নহি। আপনি নিশ্চয়ই পাঁচশত গিনি পাইবেন, আমার শির জামিন। ইহার অধিক আর কি বলিব? এতগুলি টাকা একসঙ্গে পাইলে আপনি কিরূপ ধনবান হইবেন, আপনার ব্যবসায়-বাণিজ্যের কত সুবিধা হইবে, তাহাও ভাবিয়া দেখিবেন।”
হাবসী সর্দ্দার বলিল, “যাহারা জাহাজ লইয়া তোমাদিগকে ধরিতে আসিয়াছে আমি তাহাদিগকে কি জবাব দিব?”
ডড্লে বলিলেন, “আপনি বলিবেন, আমি তাহাদিগকে খুঁজিয়া পাইলাম, তাহারা এ দ্বীপে নাই।’—আপনার কথা তাহারা অবিশ্বাস করিতে পারিবে না।”
হাবসী সর্দ্দার বলিল, “আচ্ছ, আমি কথাটা ভাবিয়া দেখিব। এখন তুমি আমার সঙ্গে আমার বাড়ী চল, তোমার মুখখানি ভাল করিয়া চিনিয়া রাখা দরকার।
ডড্লে দৃষ্টিতে পকেটস্থিত পিস্তলটি ধরিয়া হাবসী সর্দ্দারের অনুসরণ করিলেন। তিনি হাবী সর্দারকে বলিলেন, “আমি আপনার সঙ্গে যাইতেছি বটে, কিন্তু আপনি যদি আমার সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাহা হইলে আপনি ত প্রতিশ্রুত পুরষ্কার পাইবেনই না, অধিকন্তু আমাদের দেশের রাণীর যুদ্ধ-জাহাজ আসিয়া আপনাকে সবংশে ধ্বংশ করিয়া যাইবে”