হাবসী সর্দ্দার বলিল, “না, আমি কোনরকম নিমকহারামী করিব না। আমাকে বিশ্বাস করিতে পারিতেছ না কেন?
অল্পক্ষণ পরে ডড্লে পাহাডের ধারে হাবসী সর্দ্দারের গৃহদ্বারে উপস্থিত হইলেন। ডড্লে তাহার সহিত গৃমধ্যে প্রবেশ করিলে, সর্দ্দারের আদেশে একটি ক্রীতদাস প্রজ্বলিত ‘চেরাগ লইয়া আসিল। সেই দীপালোকে ডড্লে সর্দ্দারের চেহারাটি ভাল করিয়া দেখিয়া লইলেন। লোকটি মোটা, বেঁটে, তাহার মুখখানি গোল, মুখে বসন্তের দাগ, চক্ষুদু’টি বাঘের চোখের মত। তাহার দৃষ্টি অত্যন্ত ক্রুর, তাহাতে সরলতার চিহ্ন মাত্র নাই।
সর্দ্দার তাহার ফরাসে বসিয়া ডড্লেকে তার পাশে বসিতে অনুরোধ করিল। তিনি পকেট হইতে হাতখানি বাহির করিলেন না, পিস্তলটি বরিয়াই রহিলেন। তিনি সর্দ্দারের পাশে উপবেশন করিলে সর্দ্দার তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার দলের লোকজন কোথায় আছে?
ডড্লে প্রথমে মনে করিলে, তাহাদের আশ্রয়স্থানের সন্ধান দিবেন না, কিন্তু ইহাতে তাহার সন্দেহের উদ্রেক হইতে পারে, এবং তিনি তাহাকে অবিশ্বাস করিতেছেন—ইহা বুঝিতে পারিলে সে-ও বিশ্বাসঘাতকতা করিতে পারে ভাবিয়া, তিনি সত্য কথা বলাই সঙ্গত মনে করিলেন। যাহর অনুগ্রহে সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে হইবে—তাহাকে অবিশ্বাস করিয়া লাভ কি?
সর্দ্দার তাহাদের আশ্রয়স্থানের ঠিকানা জানিতে পারিয়া বলিল, “তোমরা বেশ ভাল যায়গাতেই আশ্রয় লইয়াছ, আপাততঃ ঐখানেই থাক। তোমার শত্রুরা সেখান হইতে তোমাদিগকে খুঁজিয়া বাহির করিতে পারিবে না। আমি তোমাদিগকে নির্বিয়ে লামুতে পৌঁছাইয়া দিলে আমাকে পাঁচশত গিনি ঠিক দিবে ত?—তোমার কথার নড়-চড় হইবে না ত?”
ডড্লে বলিলেন, “আমরা লামুতে পৌছিয়াই আপনাকে চক্চকে পাঁচশত গিনি গণিয়া দিব।—কিন্তু আমাদের সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিলে একটি কাণা—কড়িও পাইবেন না।”
সর্দ্দার তাহার দীর্ঘ দাড়ির ভিতর কর-চালনা করিয়া বলিল, “মোয়াহিনীর