পুত্র মঙ্গাহোবো নিমকহারামী করিবে? তোবা। আমার যে কথা—সেই কা। যাহা হউক, এখন তুমি তোমার আজ্ঞায় যাও, খোদা তোমাদের নিরাপদে রাখুন। কাল তোমাদিগকে লামুতে লইয়া যাইবার উপায় স্থির করিব। যতক্ষণ এই দ্বীপ ত্যাগ করিতে না পারিতেছ—ততক্ষণ সাবধানে লুকাইয়া থাকিবে।”
ডড্লে হাবসী-সর্দ্দারের নিকট বিদায় লইয়া যথাসম্ভব দ্রুতগতি তাহার আজ্ঞা প্রত্যাগমন করিলেন, চন্দ্রালোকে পথ দেখিত এবার আর তেমন কষ্ট হইল না। তিনি চলিতে-চলিতে ভাবিলেন, “এই অপরিচিত লোভী হাবসীটাকে বিশ্বাস করিয়া কি ভাল করিলাম? কিন্তু বিশ্বাস না করিয়াই বা উপায় কি?—না, লোকটা বোধ হয় বিশ্বাসঘাতকতা করিবে না, অন্য কারণ না থাকিলেও সে এতগুলি টাকার লোভ ছাড়িতে পারিবে না।— কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করিলেই আমাদের সর্বনাশ।
ডড্লে দীর্ঘ পথ অতিক্রম পূর্বক শ্রান্তদেহে আজ্ঞায় প্রত্যাগমন করিলেন, তিনি মিস্ এরসকাইনকে বলিলেন, “আমি এই দ্বীপের সর্দারের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছি। জাহাজের কাপ্তেন ও আপনার মামাকেও দেখিয়াছি। তারা আমার প্রায় পাশ দিয়াই চলিয়া গেল, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমাকে দেখিতে পায় নাই। আমি সর্দ্দারের সঙ্গে তার বাড়ী পর্যন্ত গিয়াছিলাম।”
মিস্ এরসকাইন ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তাহার সহিত আপনার কি কথা হইল?
হাবসী সর্দ্দারের সহিত তাহার যে সকল কথা হইয়াছিল, তাহা তিনি সমস্তই মিস এরসকাইনের গোচর করিলেন। তাহা শুনিয়া মিস্ এরসকাইন বলিলেন “লোকটা আমাদেব সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিবে না ত?
ডড্লে বলিলেন, “তাহা কিরূপে বলিব? তবে সে যে এতগুলি টাকার লোত ত্যাগ করিতে পারিবে——এরূপ বোধ হয় না, কিন্তু আমি যে তাহাকে এত টাকা নিশ্চয়ই দিতে পারিব—তাহার মনে এ বিশ্বাস উৎপাদনের কোন উপায় দেখিতেছি না। লামুতে উপস্থিত হইয়া আমার অঙ্গীকার পূর্ণ করিতে