মিস্ এরাইন বলিলেন, “কথাটা নিশ্চয়ই মিথ্যা নহে, আপনার মুখ দেখিয়াই বুঝিয়াছি আপনি উচ্চাভিলাষী। উচ্চাভিলাষ থাকা ভাল। যে সকল যুবক কার্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া উচ্চাভিলাষী না হয়, তাহারা তেমন উন্নতি করিতে পারে না। ভবিষ্যৎ-জীবনে খ্যাতিও লাভ করিতে পারে না। জীবন-সংগ্রামে জয়লাভ করা সামান্য সাধনার ফল নহে।সেই গৌরব অর্জন করিতে পারা পরম শ্লাঘার কথা।”
ডড্লে বলিলেন, “মিস্ এরাইন, আমি জীবন-সংগ্রামে জয়লাভ করি আপনি কি ইহা ইচ্ছা করেন? কথাটা আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় ত অশোভন হইল, কিন্তু আমার বিশ্বাস, আপনার নিকট অনুকূল উত্তর পাইলে আমার সৌভাগ্যোদয় হইবে।”
মিস্ এরাইন বলিলেন, “হাঁ, আপনার জীবনের ব্রত সফল হউক, ইহাই আমার আন্তরিক ইচ্ছা। আমার বিশ্বাস-জীবনের যুদ্ধে আপনি জয়লাভ করিবেন। আপনার সম্মুখে বিশাল কার্যক্ষেত্র উন্মুক্ত, অগ্রসর হউন, আপনার আশা পূর্ণ কইবে। কিন্তু ঐ শুনুন গান আরম্ভ হইয়াছে, এইবার আমার নাচের পালা, চলুন ‘বল-রুমে যাই।”
উভয়ে বল-রুমে প্রবেশ করিলে আবার কিছুকাল নৃত্য চলিল। মিস্ এরাইন অন্য একটি যুবকের সহিত নাচিলেন। এবার যাহার সহিত ডড্লের নাচিবার কথা ছিল, নাচিতে-নাচিতে মসৃণ মেঝের উপর পডিয়া তাহার পায়ে বড় আঘাত লাগিয়াছিল, এজন্য তিনি নৃত্যে যোগ দিতে পারিলেন না, ডড্লে এডমিরালের সহিত আলাপ করিতে চলিলেন। এডমিরাল তখন মঞ্চের উপর বসিয়া লাট-পত্নীর সহিত গল্প করিতেছিলেন, ডলকে দেখিয়া এডমিরাল লাট-পত্নীর নিকট বিদায় লইয়া উঠিলেন, এবং ডড্লের সম্মুখে আসিয়া বলিলেন, “ডড্লে, তোমার সঙ্গে আমার অনেক কথা আছে, চল একটু নিরিবিলি যায়গায় গিয়া বসি। আমার কথা শেষ করিতে বেশী সময় লাগবে না, সেজন্য তুমি চিন্তিত হইও না।”
উভয়ে একটি নির্জন স্থানে আসিয়া বসিল এডমিরাল বলিলেন, “কথাটা