পাতা:নাবিক-বধূ.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ
১১

আজ তোমাকে বলিবার ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু লাট সাহেব তোমার পিতার পরম বন্ধু, তিনি আমাকে বলিলেন, কথাটা আজই তোমাকে বলা ভাল—আমি তোমার উপর একটি গুরুতর কার্য্যের ভার দিতে চাই, কিন্তু তুমি সে ভার গ্রহণ করিতে সম্মত কি না, সর্ব্বাগ্রে তাহ জনা আবশ্যক।”

 ডড্‌লে বলিলেন, “আপনার অধীনে এত সুদক্ষ কর্ম্মচারী থাকিতে আমার উপর আপনি কোনও গুরুতর কার্য্যের ভার দিতে ইচ্ছুক হইয়াছেন। আমার পক্ষে ইহা পরম সৌভাগ্যের কথা —কিন্তু আমি সেই ভার গ্রহণের যোগ্য কি না তাহা ত জানি না।”

 এডমিরাল বলিলেন, “তোমার যোগ্যতার আমার সন্দেহ নাই, আমি অযোগ্য পাত্রে কোনও ভার অর্পণ করি না। আমি তোমার বুদ্ধি-বিবেচনা ও শক্তি-সামর্থ্যের যথেষ্ট পরিচয় পাইয়াছি, তোমার কার্য্যের উপরেও আমার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে।—এখন আমার কথা মন দিয়া শোন। আমার বিশ্বাস, যে কার্য্যে যথেষ্ট বিপদের সম্ভাবনা,—সেরূপ কার্যোর ভার লইতে তোমার অত্যন্ত আনন্দ হয়। তোমার উপর আমি এইরূপ একটি কার্য্যের ভার দিব। তুমি এদেশে অনেক দিন আছ—মুতরাং আমেদ বেন-হাসেনের নাম বোধ হয় তোমার অজ্ঞাত নহে।”

 ডড্‌লে বলিলেন, “সে নিয়াস হ্রদের তীরবর্তী স্থানসমূহে ক্রীতদাসের বাবসায় করে না? আমরা ত তাঙ্কাকে বহুদিন হইতে ধরিবার চেষ্টা করিতেছি। তাহার নাম কে না জানে?”

 এডমিরাল বলিলেন, “উত্তম কথা —তাহা হইলে তুমি বোধ হয় এ কথাও জনি যে, আফ্রিকাদেশে তাহার ন্যায় দুর্ব্বত্ত নরপশু দ্বিতীয় নাই। চাতুর্য্যে ও ফন্দী-ফিকিরে সে আমাদিগকে বহুবার পরাস্ত করিয়াছে। আজ সংবাদ পাইয়াছি, সে সায়ার নদী দিয়া এক চালান রাইফেল লইয়া যাইবে। প্রথমে সে তাহা জাহাজ হইতে কিলম্যানে নামাইয়া লইবার মনস্থ করিয়াছিল, কিন্তু সে সংবাদ পাইয়াছে—পর্টুগীজরা ইহাতে আপত্তি করিবে। এইজন্য •সে কমোরো দ্বীপের অদূরে স্বয়ং উপস্থিত হইয় গুলি-বারুদ বন্দুক প্রভৃতি