তাহার নিজের বোটে তুলিয়া লইবে, এবং গোপনে নিয়াস হ্রদে লইয়া যাইবে। যে জাহাজে ঐ সকল মাল আসিতেছে—সেই জাহাজখানি আটক করিয়া তাহা খানা-তল্লাস করিতে পারিতাম, কিন্তু তাহা যে উহাই মাল, ইহার কোনও অকাট্য প্রমাণ পাই নাই বলিয়া জাহাজখানি আটক করা সঙ্গত মনে করি নাই। এই মালগুলি কখন আমাদের বোটে নামাইয়া দেওয়া হয়, তৎপ্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে, পরে সেই বোট আমাদের কর্তৃক পরিচালিত হইতে দেখিলেই তাহা দখল করিতে হইবে। কিন্তু এদেশের কোনও লোকের উপর এই কার্যের ভার দেওয়া যায় না, সুতরাং আমার সৈন্যদল হইতেই যোগ্য লোক প্রেরণ করা আবশ্যক। আমি জানি, তুমি ছদ্মবেশধারণে অসাধারণ দক্ষ, এতদ্ভিন্ন তুমি খাটী আরবের মতই আরবী কথা বলিতে পার, এইজন্য এ ভার আমি তোমার উপরেই দিতে চাই। তুমি কার্যোদ্ধার করিতে পারিবে-এটুকু আমার বিশ্বাস আছে। যদি আমার যৌবন থাকিত, তাহা হইলে আমি স্বয়ংং সানন্দে এই কার্য্যভার গ্রহণ করিতাম।”
ডড্লে বলিলেন, “আমি আনন্দের সহিত এই ভার গ্রহণে সম্মত আছি, আপনি এইভাবে আমাকে সম্মানিত করিলেন, এজন্য আমি আপনার নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞ রহিলাম। এরূপ বিপদের কার্যে প্রবৃত্ত হইতে আমার বড়ই আনন্দ। আমি কার্যোদ্ধারের জন্য চেষ্টা-যন্ত্রের ক্রটি করিব না, তবে কৃতকার্য্য হইতে পারিব কি না বলিতে পারি না।”
এডমিরাল বলিলেন, “সেজন্য তুমি চিন্তিত হইও না, তবে কাজটা কঠিন বটে। কতবার সেই দুর্বত্তকে ধরি-ধরি করিয়াও ধরিতে পারি নাই, আশা করি এবার আর সে পলাইতে পারিবে না। তাহাকে ধরিবার জন্য সাধু বা অসাধু কোন উপায়ই উপেক্ষা করিলে চলিবে না। আমাদের যদি হ্রদ সন্নিহিত প্রদেশে গুলি-বারুদ বন্দুক প্রভৃতি লইয়া যাইতে সমর্থ হয়—তাহা হইলে আমাদের সেখানে স্বার্থরক্ষা করা কঠিন হইবে, গত পাঁচ বৎসর কাল জামিয়া সেখানে যে কিছু কার্য করিয়াছি, সমস্তই পণ্ড হইবে।”