ডড্লে বলিলেন, “আমাকে কালই যাত্রা করিতে হইবে?”
এডমিরাল বলিলেন, “আগামী শনিবারের মধ্যে রওনা হওয়াই চাই, মধ্যে এখনও তিন দিন আছে। তুমি এ ভার লইতে রাজী আছ ত? তুমি মনে করিও না—আমি তোমাকে এই কার্যে বাধ্য করিতেছি। ইচ্ছা করিলে তুমি ইহা প্রত্যাখ্যান করিতেও পার। তুমি এ ভার গ্রহণ না করিলে আমি বিন্দুমাত্র দুঃখিত হইব না।”
ডড্লে বলিলেন, “আমি স্বেচ্ছায় এ ভার গ্রহণ করিলাম, আমার অসম্মতির কোনও কারণ নাই। আপনি যেদিন বলিবেন, সেই দিনই যাত্রা করিব, কিন্তু একটা কথা এখনও বুঝিতে পারি নাই, মনে করুন, আমি সৌভাগ্যক্রমে আমাদের বোটের উপর চড়াও করিলাম, কিন্তু আমাদের ত চারিদিকে দৃষ্টি রাখিয়া কার্য্য করিবে, বোটের মাঝি-মাল্লারাও তাহার অনুগত। এ অবস্থায় কি কৌশলে বোটখানি দখল করিব?”
এডমিরাল বলিলেন, “আমি তাহার ব্যবস্থা করিব। তুমি মোজাম্বিকে উপস্থিত হইয়া সেখানকার ব্রিটীশ কন্সলের সহিত সাক্ষাৎ করিবে, সে তোমাকে যথাযোগ্য সাহায্য করিবে। তবে তোমাকেও অত্যন্ত সতর্ক থাকিতে হইবে, যেন হাসেন সন্দেহের কোনও অবকাশ না পায়। কাল এ সম্বন্ধে তোমার সঙ্গে আরও অনেক কথা হইবে, আজ আর তোমাকে আটকাইয়া রাখিব না, আজ প্রাণ ভরিয়া স্ফুর্তি করিয়া লও,মোজাম্বিকে এ সকল আমোদ-প্রমোদের সুবিধা নাই।”
ডড্লে এডমিরালকে ধন্যবাদ দিয়া নাচের মজলিসে প্রবেশ করিলেন। তখন মিস এসকাইন অন্য একটি যুবকের সহিত নাচিতেছিলেন। নৃত্য শেষ হইলে ডড্লে তাহার সহিত পুনর্বার বারান্দায় আসিয়া একটি নির্জন কোণে বসিয়া গল্প আরম্ভ করিলেন।
কথা প্রসঙ্গে ডড্লে বলিলে, “মিস্ এসকাইন, আপনার সহিত আজ দৈবক্রমে আমার সাক্ষাৎ হইয়াছে। আবার কখন আমাদের দেখা হবে কি না, কে বলিতে পারে? আপনি বোধ হয় শীঘ্রই ইংলণ্ডে ফিরিয়া যাইবেন"