দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
পরদিন প্রভাতে ডড্লে সংবাদ পাইলেন, সেইদিন বেলা এগারটার সময় এডমিরালের সহিত দেখা করিতে হইবে। ডড্লে পূর্বেও নৌ-সেনাপতির প্রাসাদে পদার্পণ করিয়াছিলেন, কিন্তু এরূপ বিচিত্র কার্যতার লইয়া তিনি আর কখনও সেখানে যান নাই। ডড্লে তাহার সহিত দেখা করিতে আসিলেন, তখন এডমিরাল বারান্দায় দাঁড়াইয়া একটা চুরুট টানিতেছিলেন। এডমিরাল মহাশয় ডড্লে কে দেখিবামাত্র তাঁহাকে সঙ্গে লইয়া একটি সুসজ্জিত কক্ষে প্রবেশ করিলেন, সহাস্যে বলিলেন, “কাল অনেক রাত্রি জাগিয়াছিলে, মনে করিয়াছিলাম তোমাকে ক্লান্ত দেখিব, কিন্তু দেখিতেছি তুমি বেশ স্থত্তিতে আছ। তোমাদের মত বয়সে উৎসাহটা এই রকমই থাকে বটে, তোমরা ক্লান্ত হইতে জান না।”
অনন্তর কাযের কথা আরম্ভ হইল। উভয়ে প্রায় এক ঘণ্টা কাল মানচিত্র ও নানাপ্রকার কাগজ-পত্র লইয়া অনেক কথার আলোচনা করিলেন। সেই সময় উড়লে তাহার কর্তব্য সম্বন্ধে সকল কথা জানিয়া লইলেন। কখন কি ভাবে চলিতে হইবে, কি করিতে হইবে—প্রভৃতি কোন বিষয় তাহার জানিতে বাকি রহিল না।
অবশেষে এডমিরাল মহাশয় অত্যন্ত গম্ভীর হইয়া বলিলেন, “আমার শেষ কথা ভাল করিয়া শুনিয়া রাখ। মোজাম্বিকে উপস্থিত হইয়া তুমি কোন বিষয়ে অতিরিক্ত চাঞ্চল্য বা উৎসাহ প্রকাশ করিও না। অসতর্কভাবে কোনও কাযে হাত দিও না। বিন্দুমাত্র ভ্রম-প্রমাদে সকল চেষ্টা ব্যর্থ হইতে পারে। ইউসিদ্ধি না হইয়া অনর্থপাত হইতে পারে।”
ডড্লে বলিলেন, “আমি খুব সতর্ক থাকিব। আমি আমাদের বোট অধিকার করিয়া জাঞ্জিবারে যাত্রা করি, এবং বোটখানি কর্তৃপক্ষের জিম্বা