করিয়া দিব, তার পর আমাদের জাহাজের জন্য সেখানে অপেক্ষা করিব।”
এডমিরাল বলিলেন, “ঠিক। যদি বিশেষ কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তাহা হইলে তুমি জাঞ্জিবারে গমনের পর সপ্তাহমধ্যে আমরা সেখানে উপস্থিত হইব, কিন্তু যদি দেখি তুমি তখন পর্যন্ত সেখানে পৌছিতে পার নাই, তাহা হইলে আমরা তোমার অন্বেষণে যাত্রা করিব। তোমাকে আর যাহা করিতে হইবে—তৎসম্বন্ধে লিখিত উপদেশ প্রদান করিব, তাহা তুমি অবকাশ কালে পাঠ করিয়া হৃদয়ঙ্গম করিয়া রাখিবে। আমার প্রত্যেক উপদেশ তোমার হৃদয়ে মুদ্রিত হইলে তুমি সেই কাগজ গুলি নষ্ট করিবে। তাহা হইলে তাহা অন্যের হাতে পড়িবার আশঙ্কা থাকিবে না। আমার কথা বুঝিয়াছ?”
ডড্লে বলিলেন “তা আর বুঝি নাই?”
ডড্লের কথা শুনিয়া এডমিরাল খুশি হইলেন। তিনি ডড্লের অত্যন্ত পক্ষপাতী হইয়াছিলেন, এই যুবকের বুদ্ধির তীক্ষ্ণতায় ও কার্য্যতৎপরতায় তাহার বিলক্ষণ আস্থা হইয়াছিল। তাহার মনে পডিল, তিনিও যৌবনকালে ডড্লের মত বুদ্ধিমান ও কম্মঠ ছিলেন, বিপদের কার্য্যে মাথা বাড়াইয়া দিতে তাহারও অসাধারণ উৎসাহ ছিল, কিন্তু এখন তিনি প্রৌঢ়, প্রথম যৌবনের সেই উৎসাহ, উদ্যম, ক্ষিপ্রতা অন্তর্হিত হইয়াছে, যাহা তিনি হারাইয়াছেন তাহা এই যুবকের নিকট পাইয়া তাহার আনন্দের সীমা রহিল না। তিনি উঠিয়া ডড্লের হাত ধরিয়া বলিলেন, “তুমি অবিলম্বে ম্যাথুজের সহিত সাক্ষাৎ কর। তাহার পর ‘ডিউসি অস্ আফ্রিকা’ নামক জাহাজের টিকিট লইয়া যাত্রার জন্য প্রস্তুত হও, সেই জাহাজখানি আগামী শনিবার বন্দর ত্যাগ করিবে। ইতিমধ্যে যদি নিজের কাযের জন্য দুইদিন ছুটি চাও, তাহা পাওয়া কঠিন হইবে না।”
ডড্লে এডমিরালকে ধন্যবাদ জানাইয়া বিদায় লইলেন।—তাহার দুইদিন ছুটি লইবার বিশেষ কোন আবশ্যক ছিল না, কিন্তু না চাহিতেই যে ছুটি। পাওয়া যায়,—এমন যুবক কে আছে, যে তাহা প্রত্যাখ্যান করে? ‘ সেইদিন অপরাহকালে ঘুরিতে-ঘুরিতে ডড়লে একটি ক্লাবে উপস্থিত