পাতা:নাবিক-বধূ.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
নাবিক-বধূ

হইলেন, তিনি এই ক্লাবে মধ্যে-মধ্যে আমোদ-প্রমোদ করিতে আসিতেন। তিনি ধুমপানের কক্ষে প্রবেশ করিয়া একখানি বংশবিনির্ম্মিত চেয়ারে উপবেশন পূর্বক খানসামাকে কিছু খাবার আনিতে আদেশ করিলেন, তাহার পর একটি সিগারেট ধরাইয়া লইয়া ধূমপান করিতে করিতে এড, মিলের উপদেশগুলি মনে মনে আলোচনা করিতে লাগিলেন। কয়েক মিনিট পরে তাঁহার পশ্চাদ্বর্তী একটি দ্বার খুলিয়া একজন লোক সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। আগন্তুক ভৃত্যকে আহ্বান করিবার জন্য সজোরে ঘণ্টাধ্বনি করিয়া সেই কক্ষের এক কোণে উপস্থিত হইল, তাহার পর টেবিলের উপর হইতে কতকগুলি কাগজপত্র টানিয়া লইয়া তাহা নাড়াচাড়া করিতে লাগিল। আগন্তুক একখানি চেয়ারে বসিয়া একখানি কাগজ পরীক্ষা করিতে-করিতে হঠাৎ ডড্‌লেকে দেখিতে পাইল।

 আগন্তুক ডড্‌লেকে লক্ষ্য করিয়া বলিল, “কে, মিঃ ডড্‌লে যে! কেমন আছেন? আজ দিনটা ভারি খারাপ, নয় কি?”—তাহার পর সে চেয়ারখানি ডড্‌লের পার্শ্বে টানিয়া আনিয়া বলিল, “কাল রাত্রে লাট সাহেবের বাড়ীর নাচে খুব স্মৃর্তি করিয়াছিলেন, সেখানে অনেক লোক যুটিয়াছিল, কেমন?

 ডড়লে বলিলেন, “হাঁ, সচরাচর যেমন হয়, তার চেয়ে লোক কিছু বেশীই হইয়াছিল।—মিস এসকাইন ভাল আছেন ত?”

 আগন্তুক বলিল, “কৈ, কোনও রকম অসুখের কথা ত শুনি নাই। সে বড় চালাক মেয়ে, অনেককে দেখিয়াছি নাচিতে-নাচিতে এলাইয়া পড়ে, শেষে সেই ধাক্কা সামলাইতেই দু’দিন যায়, এরাইন তেমন মেয়ে নয়।

 আগন্তুক এরসকাইনের মামা—ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন। সে আর কোন কথা না বলিয়া গম্ভীরভাবে কাগজ দেখিতে লাগিল। বস্তুতঃ উইলফ্রেড ল্যাম্পিয়ন কিছু অদ্ভুত প্রকৃতির লোক। দক্ষিণ আফ্রিকার জনক লোকেই জানিত-তাহার ন্যায় ধূর্ত সচরাচর দেখা যায় না। সকলেই তাহার বুদ্ধির প্রশংসা করায় তাহার মেজাজ কিছু গরম হইয়া উঠিয়াছিল। ডাক্তার