কিন্তু ডড্লে কেপ টাউন হইতে কোথায় যাইবেন তাহা মিস এরসকাইনকে নিশ্চয়ই বলেন নাই, এ বিষয়ে তাঁহার বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না। গুপ্তকথা ব্যক্ত হইবার ভয়ে তিনি ইচ্ছা করিয়াই এ কথা প্রকাশ করেন নাই, তবে ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন এ কথা কাহার নিকট শুনিল? ডড্লে কিছুই বুঝিতে পারিয়া তীক্ষ দৃষ্টিতে ডাক্তারের মুখের দিকে চাহিলেন, কিন্তু ডাক্তারের মুখ দেখিয়া মনের ভাব বুঝিতে পারিলেন না। তবে তিনি এটুকু বুঝিলেন যে, তাঁহার গতিবিধির সন্ধান রাখিয়া ডাক্তারের লাভ আছে। নিশ্চয়ই কোনও গুপ্ত অভিসন্ধির বশবর্তী হইয়া সে এ সকল সন্ধান লইতেছে।কিন্তু তাহার অভিসন্ধি কি? ডড্লের এই অভিযানের সহিত ডাক্তার ল্যাম্পিয়নের কি কোন সম্বন্ধ আছে?
ইতিমধ্যে ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন গাত্রোখান করিয়া বলিল, “আপনার যাত্রার যদি দুই চারিদিন বিলম্ব থাকে—তাহা হইলে আগামী রবিবার আমাদের গৃহে আপনি ভোজন করিলে আমরা অত্যন্ত আনন্দ লাভ করিব। আমার ভাগিনেষী মিস্ এরাইন আপনাকে দেখিয়া যে অত্যন্ত সুখী হইবে—এ কথা বলাই বাহুল্য।”
ডাক্তার ল্যাম্পিয়নের কণ্ঠস্বরে কোনরূপ ছলনা বা চাতুর্যের আভাস ছিল না, কিন্তু ডড্লে তাহার মুখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিলেন, ডাক্তারের চক্ষু দুটি যেন অস্বাভাবিক উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে, সে চক্ষুতে তাহার মানসিক উৎকণ্ঠা ও ঔৎসুক্য পরিস্ফুট হইতেছিল।
ডড্লে ধীরে ধীরে বালন, “আপনার নিমন্ত্রণ লাভ করিয়া আমি বড়ই সুখী হইলাম, কিন্তু নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে পারিব কি না ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না। যদি আমি সে দিন পর্যন্ত কেপ টাউনে থাকি—তাহা হইলে নিশ্চয়ই যাইব, আমি আপনার নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে পারিব কি না তাহা আগামী কল্য আপনাকে বলিতে পারিব।”
ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন বলিল, “তাহাই হইবে। যদি আগামী কল্য আপনার নিকট হইতে কোন সংবাদ না পাই, তাহা হইলে বুঝিব আপনি নিমন্ত্রণ রক্ষা