করিতে যাইবেন। বেলা দুইটার সময় আমরা আহার করি।—আপনি বোধ হয় আমার বাডী চেনেন?”
ডড্লে সেদিনও সেই বাড়ীর পাশ দিয়া দুইবার যাতায়াত করিয়াছিল, এবং মিস্ এরসকাইনকে দেখিবার আশায় দ্বিতলের বাতায়নের দিকে ঘনঘন দৃষ্টিপাত করিয়াছিলেন, সুতরাং তিনি ডাক্তারের বাড়ী চেনেন না—এ কথা বলিতে পারিলেন না। ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন আর কোন কথা না বলিয়া সেই কক্ষ ত্যাগ করিল। ডড্লে একটি সিগারেট ধরাইয়া নানা কথা ভাবিতে লাগিলেন, কিন্তু ডাক্তার ল্যাম্পিয়নেব উদ্দ্যেশ্য ন্ত কি, তাহা বুঝিতে পারিলেন না।
ক্রমে মিস্ এরসকাইনের কথা তাহার মনে উদিত হইল। মিস্ এরসকাইন কি চমৎকার সুন্দরী। কথাগুলি কেমন মিষ্ট —তিনি কি কোন দিন এই কুবের-নন্দিনীর হৃদয় জয় করিতে পারিবেন, তাহাকে লাভ করা কি সম্ভব হইবে?—যদি তাহাকে বিবাহ করিতে পারেন—তাছা হইলে তাহার জীবন ধন্য হইবে, দেশে তাঁহার যে পৈত্রিক সম্পত্তি আছে তাহাতেই বেশ মুখে চলিবে, কিন্তু এই মুখস্বপ্ন সফল হইবে কি?
তিনি বাহ্যজ্ঞানশূন্য হইয়া এই সকল কথা চিন্তা করিতেছেন, এমন সময় দুইটি যুবক সেই কক্ষে প্রবেশ করিলেন, তাঁহাদের একজন টর্পেডো লেফটেনাণ্ট ব্রাডফোর্ড, অন্যটি এণ্ডোমেডা জাহাজের কর্ম্মচারী পাশিভাল, উড়য়েই ডড্লের বন্ধু।
ব্রাডকোর্ড মিঃ ডড্লেকে দেখিয়া উল্লাস ভরে তাঁহার পিঠ চাপড়াইয়া বলিলেন, “ডড্লে, তুমি এখানে। আমরা তোমাকে কোথায় না খুঁজিয়াছি? এখানে তুমি কি করিতেছ?”
ডড্লে বলিলেন, “একটু বিশ্রাম করিতেছি। আমি দু’দিন ছুটি পাইয়াছি, কাযেই সময়টুকু একটু আরামে কাটাইবার জন্য আগ্রহ হওয়া অস্বাভাবিক নহে, আমাকে তোমরা খুঁজিতেছিলে কেন?”
পার্শিভাল বলিলেন, “তোমাকে নিমন্ত্রণ করিতে জাসিয়াছি। ডিক্ পয়েণ্ডার