‘পণ্টিফ্রাক্ট কাল জাহাজে এখানে আসিয়াছে, অল্পক্ষণ পূর্বে পথে তাহার সহিত দেখা হইয়াছিল। সে তোমাকে ও আমাদের দু'জনকে তার জাহাজে নিমন্ত্রণ করিয়াছে। যাইবে ত?”
ডড্লে বলিলেন, “নিশ্চয়ই যাইব। পয়েণ্ডার ছুটি পাইয়াছে?”
ব্রাডফোর্ড বলিলেন, “তাহাই ত বোধ হয়। আর ছুটিবই-বা অপরাধ কি? বেচারা বার বৎসর পর দেশে যাইতেছে।কিন্তু সে বিস্তর টাকা। জমাইয়াছে, টাকাগুলি ব্যবসায়ে খাটাইবে শুনিয়াছি।”
সেইদিন সন্ধার পর ডাকের জাহাজে থানার আয়োজন হইল, সে অতি বিরাট আয়োজন। যিনি এই প্রীতিভোজের আয়োজন করিলেন, তাহার নাম মান্যবর রিচার্ড পয়েণ্ডায়, তিনি আর্ল অফ উইম্পডনের কনিষ্ঠ পুত্র। গত দ্বাদশ বৎসর কাল তিনি পূর্ব-আফ্রিকার সন্নিহিত কোনও দ্বীপে বিষয়কর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই দীর্ঘকালে তিনি স্থানীয় অধিবাসিগণের ভাষা শিখিয়াছিলেন, তাহাদের রীতিনীতি আচার ব্যবহার সম্বন্ধেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন।
রিচার্ড পয়েণ্ডার কথা প্রসঙ্গে তাহার বন্ধুগণকে বলিলেন, “আমি যে দেশে ফিরিতেছি, এ কথা বিশ্বাস করিতে এখনও প্রবৃত্তি হইতেছে না। আমার যে কত আনন্দ হইতেছে, তা আর কি বলিব? তোমাদের লইয়া যাইতে পারিলে আমি আরও অধিক সুখী হইতাম—সে সৌভাগ্য হইবে কি?”
টর্পেডো লেফটেনাণ্ট দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন, “আর সৌভাগ্য। কতদিন আমাদিগকে আটক থাকিতে হইবে তা কে বলিবে? যদি টাকার মানুষ হইতাম তাহা হইলে চাকরী ছাডিয়া দেশে গিয়া ঘূর্তি করিতাম, কিন্তু টাকা ত নাই, বড় লোক হইবার কোন সম্ভাবনাও দেখিতেছি না, তবে যদি কোন লক্ষপতির কন্যা আমার কন্দর্পের মত চেহারা দেখিয়া বিবাহ করিয়া ফেলে—তাহা হইলে রাতারাতি বড়লোক হইতে পারিব।”।
পয়েণ্ডার বলিলেন, “দেশে ত যাইতেছি, ইচ্ছা আছে দেশে গিয়া দেখিয়া শুনিয়া একটা বিবাহ করিয়া ফেলিব। আমি খুব বেশী বড়লোকের মেয়ে