চাহি না, লাখ খানেক টাকা বার্ষিক আয় আছে—এ রকম কোন সুন্দরীর প্রেমে পড়িতে পারিলে কৃতার্থ হইব। ডডি, তুমি এমন সুপুষ, একটা শিকার যুটাইতে পারিতেছ না? রূপ দেখিয়া যদি কোন কুবের-নন্দিনী তোমার প্রেমের পাথারে হাবুডুবু না খাইল-ত এমন চেহারা কি জন্য?”
টর্পেডো লেফটেনাণ্ট বলিলেন, “ডডির কথা ছাডিয়া দাও, ছোবরার একটা মস্ত দাও ফসকাইয়া গিয়াছে। কাল রাতে লাট-প্রাসাদে নাচের মজলিসে ডডি এক যুবতীর প্রেমের তুফানে পডিয়া নাকানি-চুবানী থাইয়াছিল, —কিছু লোনা জলও পেটে ঢুকিয়াছিল। যুবতী যেমন সুন্দরী—তেমনি সাঁঁশালো, লক্ষপতির কন্যা। এমন শিকার হতে পাইয়াও ছাডিয়া দিলে হে। ধিক, খোলা গরম থাকিতে থাকিতে বিবাহের ভিয়ান চড়াইলে না কেন? কথাটা পাড়িতে কি ক্ষতি ছিল?
ডড্লে বলিলেন, “ব্রাডফোর্ডটা প্রকাণ্ড গাধা। সেই যুবতী উহার মত টর্পেডে লেফটেনাণ্টকে গ্রাহ্যও করে নাই, এইজন্য আপশোষ হওয়ায় হত ভাগাটা এই রকম প্রলাপ বকিতেছে। উহার অপেক্ষা সে আমার বেশী খাতির করিয়াছিল, এই হিংসায় মরিতেছে আর কি।”
পয়েণ্ডার বলিলেন, “তোমাদের ভাগ্য ভাল, কিন্তু আমার অদৃষ্টে এ পর্যন্ত কোন লক্ষপতির কন্যা মিলিল না, চারে মাছ না আসিলে আর বঁড়সি গিলিবে কে? অগাধ সমুদ্রে ছিপ ফেলিয়া বসিয়া আছি, চুনোপুটিতে দুই একটা ঠোকর দেয়, সে সব নিতান্ত অগ্রাহ্য। যাহা হউক, বাহার প্রেমের তুফানে পডিয়া এতটা বেসামাল হইয়াছ—সেই ভাগ্যবতীটিকে জানিতে পারি কি?
ডড্লে কথাটা চাপা দিবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু ব্রাডফোর্ডের নেশাটা বেশ জমিয়া আসিয়াছিল, তাহার তখন মহা স্মৃত্তি, সে কথা চাপ দিতে দিল না,সোৎসাহে বলিল, “ডড্লে সে কথা বলিবে না, পাছে শিকার হাতছাড়া হয়। কিন্তু আমার কাছে লুকাইবার চেষ্টা বৃথা।—সেই যুবতীর নাম মিস এরসকাইন। মাস ছয়েক পূর্বে সে এদেশে আসিয়াছে। আঃ, কি চমৎকার তার রূপ ভাই, আর নিখুঁত গড়ন, তার উপর তার বাপের বিপুল ঐশ্বর্য্য।”