বুঝিতে পারিলেন না। তিনি চলিতে চলিতে দেখিতে পাইলেন, একটি কক্ষের দ্বার কয়েক ইঞ্চি খোলা রহিয়াছে, তাহার ভিতর হইতে আলো দেখা যাইতেছে। ডড্লে সেই কক্ষের দ্বারে দাড়াইয়া, কক্ষ মধ্যে প্রবেশ করিবেন কি না ভাবিতেছেন, এমন সময় সেই কক্ষের অভ্যন্তর হইতে কাহার কণ্ঠস্বর তাহার কর্ণে প্রবেশ করিল।—তিনি বুঝিতে পারিলেন, তাহা মিস্ এরসকাইনের মাতুল ডাক্তার ল্যাম্পিয়নের কণ্ঠস্বর।
ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন বলিতেছিলেন, “না, না, এ বড় ঝুঁকির কার্য। ইহাতে বিপদের আশঙ্কা অত্যন্ত প্রবল।”
একজন মোটা গলায় বলল, “যতবড় ঝুকির কাযই হউক—ইহাই তোমার একমাত্র সুযোগ। আর ইহাতে বিপদেই বা পড়িবে কেন? তুমিই ত বলিতেছিলে যেরূপে হউক-তোমার টাকা চাই।”
ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন বলিলেন, “টাকা, হ্যাঁ, টাকা চাই বৈ কি। এই অর্থের উপর আমার জীবন-মরণ নির্ভর করিতেছে, উহা না পাইলে আমার ভবিষ্যতের সকল আশা-ভরসা বিলুপ্ত হইবে, আমার সর্বনাশ হইবে। লোকে সকল কথাই জানিতে পারিবে, আমি উন্নতির উচ্চতম সোপান হইতে অধঃপতনের শেষ সীমায় উপনীত হইব।—হ, টাকা চাই, কিন্তু কিরূপে তাহা পাইব?”
দ্বিতীয় ব্যক্তি মোটা গলায় বলিল, “আমার মতলবে চলিলেই তোমার আশা পূর্ণ হইবে। উইলখানি যে তোমার সম্পূর্ণ অনুকূল, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই ত?
ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন বলিল, “হাঁ, আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস এই উইল আমার অনুকুল।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বলিল, “তাহা হইলে আমি যাহা বলিব—তদনুসারে তোমাকে কাম করিতে হইবে, কিন্তু আমি পঞ্চাশ হাজার পাউণ্ড পারিশ্রমিক লইব, এ কথা ভুলিও না। এক পেনিও কম লইব না।”