তৃতীয় পরিচ্ছেদ
আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বতীরবর্তী মোজাম্বিক দ্বীপের প্রাকৃতিক দৃশ্য বড়ই মনোহর। কর্তৃপক্ষের আদেশে এই দ্বীপের কোনও অধিবাসী তাহার গৃহের বহির্ভাগে চূণকাম করিতে পারিত না। এখানকার লাট সাহেবের প্রাসাদ, ভজনালয়, ব্রিটীশ কন্সলের আবাস, বিসপের বাসগৃহ, নূতন কষ্টম আফিস প্রভৃতি অট্টালিকা দ্বীপের একাংশে অবস্থিত। অট্টালিকাগুলি দেখিতেও সুন্দর। প্রাচ্য মহাদেশের বৈচিত্র্যই ইহাদের বিশেষত্ব।কিন্তু অনেক বিষয়ে ইহা ইউরোপীয় দ্বীপের অনুরূপ
একদিন অপরাহ্ন কালে ডিউসি অফ আফিকা কোম্পানীর একখানি জাহাজ এই দ্বীপের সন্নিকটে উপস্থিত হইল। সেই সময় মিঃ ডড়লে জাহাজের ডেকের উপর একখানি আরামকেদারায় বসিয়া অপরাহ্নের শোভা নিরীক্ষণ করিতেছিলেন, তাহার পাশে একটি বৃদ্ধ পর্তুগীজ, পাদরী বসিয়াছিলেন। ডড্লে চতুর্দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছিলেন বটে, কিন্তু তখন তাহার মন নানা চিন্তায় পূর্ণ। তিনি যে কার্য্যের ভার লইয়া এই দ্বীপে আসিতেছিলেন, তাহা সংসাধনের সম্ভাবনা কতটুকু, ধৃত্ত আমেদ হোসেনের বোটে তিনি উঠিতে পারিবেন কি না, তাহার শেষ ফল কি হইবে—ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে তিনি চিন্তা করিতেছিলেন। প্রায় পনের মিনিট পরে জাহাজখানি নোঙ্গর করিলে ডড্লে তীরে অবতরণ করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। তিনি তার জিনিসপত্র গুছাইয়া লইয়া একখানি নৌকা ভাড়া করিলেন, এবং সেই নৌকায় লাট-প্রাসাদের অদূরস্থ জেঠিতে অবতরণ করিলেন। কে জাহাজ হইতে নামিতে দেখিয়া একদল দেশীয় কুলি কঁহার লট-বহর লইয়া টানাটানি আরম্ভ করিল।—তিনি তাহাদের ভিতর হইতে, একটি নিরীহ-প্রকৃতির লোক বাছিয়া লইয়া অন্য সকলকে বিদায় করিলেন। সেই