পাতা:নাবিক-বধূ.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
নাবিক-বধু

কুলিটা তাঁহার আদেশে তাহার মাল-পত্র ঘাডে লইয়া ব্রিটীশ কন্সলের গৃহাভি মুখে অগ্রসর হইল।

 মিঃ ডড্‌লে ব্রিটীশ কন্সলের সহিত সাক্ষাৎ করিলে কন্সল তাহাকে লিলেন, “মিঃ ডড্‌লে, তুমি কেমন আছ? তোমাকে হঠাৎ এখানে দেখিবার আশা করি নাই, কিন্তু তোমাকে দেখিয়া অত্যন্ত খুসী হইয়াছি। আমার বিশ্বাস ছিল—এখন তুমি কেপ টাউনেই থাকিবে।”

 ডড্‌লে বলিলেন, “আমি আমাদের এডমিরাল রেডফর্ণের একখানি পত্র আপনার নিকট লইয়া আসিয়াছি। সেই পত্রখানি পাঠ করিলেই আপনি বুঝিতে পারিবেন আমি হঠাৎ এখানে কেন আসিয়াছি।” ডড্‌লে এডমিরাল-প্রদত্ত পত্রখানি পকেট হইতে বাহির করিয়া কন্সলের হস্তে প্রদান করিলেন। কন্সল মহাশয় পত্রখানি খুলিয়া দুই তিনবার অতি সাবধানে তাহা পাঠ করিলেন। তিনি পত্রের মম্ম অবগত হইয়া পত্রখানি তাহারা টেবিলের দেরাজে বন্ধ করিয়া রাখিলেন।

 অনন্তর কন্সল গম্ভীরভাবে ডড্‌লেকে বলিলেন, “তুমি যে কাযের ভার লইয়া আসিয়াছ, তাহা যেমন কঠিন, সেইরূপ সঙ্কটজনক। সত্যই ইহা অত্যন্ত বিপদের কায॥

 ডড্‌লে বলিলেন, “তাহা কি আর আমি বুঝিতে পারি নাই?—কিছু যতই বিপদের আশঙ্কা থাক—আমাকে সাবধানে এই কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতেই হইবে। আপনি আমাকে যথাশক্তি সাহায্য করিলে অত্যন্ত বাধিত হইব। আমি এডমিরাল মহাশয়ের নিকট শুনিয়াছি আপনি এই কার্যে আমাকে সাহায্য করিবেন।

 কন্সল পূর্ণ একমিনিট কাল নিস্তব্ধ ভাবে বসিয়া থাকিয়া বলিলেন, “তোমাকে সাহায্য করা আমার প্রধান কর্তব্য, এ বিষয়ে মতভেদ নাই, আমি যে যথাশক্তি তোমাকে সাহায্য করিব এ কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তুমি? কত বড় বিপদকে আলিঙ্গন করিতে যাইতেছ, তাহা বোধ হয় তোমাকে ঠিক বুঝাইতে পারি না। যে লোকটির সহিত তোমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে