হইবে, সে অতি ভয়ঙ্কর লোক। সে জানে তাহার সঙ্কল্প-সিদ্ধির অধিক বিলম্ব নাই, এখন যদি সে আমাদের হাতে ধরা পড়ে, তাহা হইলে তাহার সকল আশা-ভরসা বিলুপ্ত হইবে। যদি সে কোন কৌশলে তোমাকে চিনিতে পারে, তাহা হইলে তোমার প্রাণরক্ষার আশা থাকিবে না।”
ডড্লে বলিলেন, “সে কথা আমার জানা আছে। বিপদের আশঙ্কা প্রবল বলিয়াই এই কার্য্য সাধনের জন্য আমার অধিকতর আগ্রহ ও উৎসাহ হইয়াছে। যেরূপে হউক তাহাকে গ্রেপ্তার করিবার জন্য আমি কৃতসঙ্কল্প।”
কন্সল বলিলেন, “তাহা হইলে আমার আর কিছুই বলিবার নাই। অতঃপর কি করিতে হইবে, প্রথমে তাহার আলোচনা আবশ্যক। এডমিরালও লিখিয়াছেন—তেমন তাড়াতাডি করা সঙ্গত হইবে না, তাহাতে সকল চেষ্টা বিফল হইতে পারে। তোমাকে সাহায্য করিতে হইলে আমাকে অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া কাযে হাত দিতে হবে। প্রথমে ত তোমাকে মিসেস্ স্পরফিল্ডের সহিত পরিচিত করি, তুমি বোধ হয় পূর্ব্বে তাঁহাকে দেখ নাই।”
কন্সলের স্ত্রী অন্য একটি কক্ষে বসিয়া সূচীকর্ম্ম করিতেছিলেন, কন্সল ডড্লেকে সঙ্গে লইয়া তাহার নিকট উপস্থিত হইলেন। এই রমণী যেরূপ সুন্দরী সেইরূপ গুণবতী, তাঁহার গুণের জন্য সে অঞ্চলের সকল লোকই তাহাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মান করিত। তিনি কতদিন বিপন্ন ব্যক্তিকে গোপনে অর্থসাহায্য করিয়াছেন, কত রোগারের সেবা শুশ্রুষা করিয়া তাহাদিগকে মৃত্যুকবল হইতে রক্ষা করিয়াছেন তাহার সংখ্যা নাই।
কন্সল তাঁহার স্ত্রীকে বলিলেন, “প্রিয়তমে, মিঃ ডড্লেকে তোমার সহিত পরিচিত করিবার জন্য আনিয়াছি। ইনি কেপ টাউন হইতে এইমাত্র এখানে আসিয়াছেন। আমার অনুরোধে ইনি কয়েকদিন এখানে থাকিতে সম্মত হইয়াছেন।”
ডড্লে মোজাম্বিকে কেন আসিয়াছেন, একথা জিজ্ঞাসা করিবার ইচ্ছা থাকিলেও স্বামীর ইঙ্গিত বুঝিয়া মিসেস্ স্পরফিল্ড ডুডলেকে সে সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করিলেন না। তিনি মধুর স্বরে ডড্লেকে বলিলেন, “আপমি দুয়া