ডড্লে বলিলেন, “আপনি ঠিক কাযই করিয়াছেন, কিন্তু এই লোকটি কে তাহা জানিবার জন্য আমার বড় আগ্রহ হইয়াছে।”
কন্সল বলিলেন, “তাহার নাম সামওয়েলি, সে জাতিতে নিগ্রো এবং সোয়াহিলী দেশের লোক, বিষয়-কর্ম্মানুসন্ধানে সে আক্কিার উপকূলে পরিভ্রমণ, করে। তাহার সাহায্য পাইলে তোমার যত উপকার হইবে—এরূপ আর কিছুতেই হইবে না। লোকটি বিশ্বাসী, বাধ্য, সাহসী এবং সাধুপ্রকৃতি, বিশেষতঃ সে আমেদ বে-হাসেনকে অত্যন্ত ঘৃণা করে। আমেদ বেন্ মুসলমান বলিয়া যে সে ঘণা করে এরূপ মনে করিও না, তাহার এই বদ্ধমূল ঘৃণার অন্য কারণ আছে। আমি সামওয়েলিকে ডাকাইয়া পাঠাইয়াছি, আজ রাত্রে তাহার এখানে আসিবার কথা আছে, বোধ হয় শীঘ্রই আসিবে। সে আসিলে আমি সকল ব্যবস্থা করিয়া দিব।”
প্রায় দশ মিনিট পরে পূর্বোক্ত নিগ্রো কন্সলের গৃহে উপস্থিত হইলে ভৃত্য আসিয়া তাহার আগমন-সংবাদ জ্ঞাপন করিল। কন্সল তাহাকে তাহার সম্মুখে উপস্থিত করিবার জন্ত আদেশ দিলেন। দুই মিনিটের মধ্যে সে কন্সলের সম্মুখে আসিয়া অভিবাদন করিল। ডড্লে সবিস্ময়ে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন, লোকটা ছয় ফিট দীর্ঘ, চুলগুলি কেঁকডান-উর্ণার ন্যায়। মাথায় জাঞ্জিবারি টপ। শরীর যেন অসুরের শরীরের মত। সে হাসিয়া কন্সলকে অভিবাদন করিল। তাহার সেই হাসি শিশুর হাসির মত সরল।
কন্সল স্পরফিল্ড ডড্লেকে বলিলেন, “তুমি সোয়াহিলীদের ভাষা জানিতে ত?”
ডড্লে বলিলেন, হ্যাক, জানি এক রকম।
মিঃ স্পরফিল্ড বলিলেন, “ভাল কথা। আর না জানিলেও কোন ক্ষতি ছিল না, সামওয়েলি পৃথিবির নানা ভাষায় কথা কহিতে পারে—বিশেষতঃ ইংরাজী ভাষা সে অনর্গল বলিতে পারে। যাহা হউক, এখন কায আরম্ভ করা যাউক— সামওয়েলি, তুমি বোধ হয় আমেদ বেন্ হাসেনের নাম শুনিয়াছ?”
সামওয়েলির মুখমণ্ডল ঠাৎ ভীষণ ভাব ধারণ করিল, তাহার চক্ষু রক্তবর্ণ