পাতা:নাবিক-বধূ.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
৪৩

 মিঃ স্পরফিল্ড বলিলেন, “এই রহস্যজাল ভেদ করা বোধ হয় অসম্ভব হইবে। আমি গবর্ণরকে জানাইয়াছি, তিনি আসামীকে গ্রেপ্তার করিবার ব্যবস্থা করুন।—আমার একটা বড় ভুল হইয়াছে, সামওয়েলি এখানে আসিলে আরবটাকে পুলিশের হাতে দিলেই ভাল হইত। সামওমেলি নিশ্চয়ই তাহাকে চিনিতে পারি, তাহার সম্বন্ধে দুই-চারিটি কথা বলিতেও পারিত।”

 ডড্‌লে বলিলেন, “সামওয়েলির সহিত কি আমাদের শীঘ্র দেখা হইবার আশা আছে? ক্রমেই বিলম্ব হইয়া যাইতেছে, আমেদ বেন হোসেন আমাদের চক্ষুতে ধূলা দিয়া ইতিমধ্যে পলাইতে না পারে।”

 মিঃ স্পরফিল্ড বলিলেন, “এ বিষয়ে তুমি নিশ্চিন্ত থাক, সামওয়েলি নিশ্চয়ই তাহার উপর দৃষ্টি রাখিয়াছে।”

 তাঁহারা বাতায়ন-সন্নিকটে বসিয়া গল্প করিতেছিলেন, হঠাৎ রাজপথে একটি ফেরিওয়ালার আবির্ভাব হইল। তাহার কাঁধে একটি প্রকাণ্ড বোঁচকা, সেই বোঁচকায় নানা প্রকার পণ্যদ্রব্য ছিল। সে মিঃ স্পরফিল্ড ও ডড্‌লেকে গল্প করিতে দেখিয়া তাহাদের জিজ্ঞাসা করিল,—“হুজুর, কিছু সওদা করিবেন? আমার কাছে নানা রকম মনোহারী জিনিস আছে।”

 মিঃ স্পরফিল্ড বলিলেন, “না, আমার কিছু কিনিবার আবশ্যক নাই।”

 ডড্‌লে ফেরিওয়ালার আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিয়া মিঃ স্পরফিল্ডকে নিম্নম্বরে বলিলেন, “উহাকে ভিতরে ডাকুন, আমরা উহার জিনিসগুলি কিনিব।”

 মিঃ স্পরফিল্ড সবিস্ময়ে ডড্‌লের মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “হঠাৎ তোমার এ সখ হইল কেন?

 মিঃ ডড্‌লে বলিলেন, “লোকটাকে চিনিতে পারিলেন না? এযে আপনারই সামওয়েলি।