চতুর্থ পরিচ্ছেদ
ফেরিওয়ালাকে তৎক্ষণাৎ ভিতরে ডাকিয়া আনা হইল। লোকটার পরিচ্ছদের বৈচিত্র্য ছিল, সে ফেরিওয়ালা হইলেও ভারতীয় ফকিরের মত তাহার পরিচ্ছদ—তাহার অঙ্গে একটি প্রকাণ্ড আলখাল্লা, গলায় ফুতি ও স্ফটিকের মালা, মাথায় দরবেশের মত চুল,অথচ কাঁধে পণ্যদ্রব্যপূর্ণ বোঁচকা। ডড্লে বলিলেন, “ফেরিওয়ালারা কখনও এরূপ পরিচ্ছদে বাহির হয় না, আমি দীর্ঘকাল ভারতবর্ষে ছিলাম,ইহার ফকিরের পোষাক দেখিয়াই আমার সন্দেহ হয় —এ কখন আসল ফেরিওয়ালা নহে। এতদ্ভিন্ন উহার চক্ষু দুইটি দেখিয়াও উহাকে চিনিয়াছিলাম।”
সামওয়েলি তাহার কাঁধের বোঁচকা নামাইয়া রাখিয়া মিঃ স্পরফিল্ডকে অভিবাদন করিল, মিঃ স্পরফিল্ড তাহাকে বলিলেন, “সামওয়েলি, ছদ্মবেশে তোমাকে প্রথমে চিনিতে পারি নাই, তোমার বাহাদুরী আছে।তুমি শীঘ্র ফিরিয়াছ দেখিয়া বড়ই আনন্দিত হইয়াছি, আশা করি কোন নূতন খবর দিতে পারিবে।
সামওয়েলি বলিল, “হাঁ, কিছু কিছু নূতন খবর সংগ্রহ করিয়া আনিয়াছি বৈ কি। আমি আমেদ বে-হাসেনকে দেখিয়া আসিয়াছি, সেই কুত্তির বাচ্চা কি মতলব অটিয়াছে, তাহাও জানিতে পারিয়াছি।
স্পরফিল্ড বলিলেন, “বটে তাহার বোটখানি এখন কোথায় নোঙ্গর করিয়াছে?
সামওয়েলি বলিল, “তাহার ‘ধাও’ (বোট) মাজাজিম উপসাগরে নোঙ্গর করিয়া আছে॥
ডড্লে বলিলেন, “সে যে মোজাম্বিক হইতে বহুদুর। সে এই অঞ্চল ইতে যাত্রা না করিয়া মাজাজিম উপসাগরে আড়াইয়াছে কেন বলিতে