একজন, তাহা সে বুঝিতে পারে নাই, কিন্তু আমাকে অতি সাবধানে এই কাযটি লইতে হইবে, নতুবা সকল চেষ্টাই বৃথা হইবে।”
ডড্লে বলিলেন,”তুমি বেশ ভাল কথাই বলিয়াছ, কিন্তু আমি কি কৌশলে তাহার সঙ্গ লইব, তাহা ত বলিলে না।”
সামওয়েলি বলিল, “সেজন্য আপনি চিন্তা করিবেন না, আমি সমস্ত ঠিক করিয়া দিব। আমেদ বেন্-হাসেন অদৃষ্টবাদী, তাহার কুসংস্কারের অন্ত নাই। ইহা আমাদের পক্ষে বড়ই সুবিধার কথা। আরবদের বিশ্বাস, যে সকল লোকের মাথা খারাপ, তাহাদের দেখিলে যাত্রা সফল হয়, আমেদেরও এইরকম সংস্কার আছে।”
ডড্লে স্পরফিল্ডকে বলিলেন, “ব্যাপারখানা কতকটা বুঝিতে পারিতেছি। শুনিয়াছি আরবেরা কোন কার্য্যসিদ্ধির উদ্দেশ্যে যাত্রা করিবাব সময় যদি পথিমধ্যে কোন উন্মাদ বা বিকৃতমস্তিষ্ক লোককে দেখিতে পায়, তাহা হইলে মনে করে তাহার আশা পূর্ণ হইবে। সামওয়েলি বোধ হয় সেই কথাই বলিতেছে।”—অনন্তর তিনি সামওয়েলিকে বলিলেন, “তুমি কি আমেদ বেন- হাসেনকে এ কথা বলিয়াছিলে?”
সামওয়েলি বলিল, “হাঁ হুজুর, আমি দরবেশের ছদ্মবেশে সেই কুত্তার সহিত দেখা করিয়াছিলাম, তাহাকে বলিয়াছি যাত্রাকালে কোন দেওয়ানার সহিত সাক্ষাৎ হইলে তাহার কার্য্যসিদ্ধি। আমাদের মতলব হাসিল করিবার জন্যই এই চাল চালিয়াছি।”
ডড্লে বলিলেন, “তুমি খুব ভাল চাল চালিয়াছ, ইহা অপেক্ষা ভাল ফন্দী আর কিছুই নাই, সামওয়েলি, তুমি বড বুদ্ধিমান। তোমার মতলব বুঝিয়াছি, আমি পাগল সাজিয়া তাহার সম্মুখে যাই-ইহাই বোধ হয় তোমার ইচ্ছা। “কিন্তু আমি কি করিয়া পাগল সাজিব? মিঃ স্পরফিল্ড, আপনি কোন উপায় স্থির করিতে পারেন?”
মিঃ স্পরফিল্ড বলিলেন,”চতুর সামওয়েলিই সে কথা তোমাকে বলিয়া দিবে। এ সকল বিষয়ে তাহার মাথা খুব পরিষ্কার।”